তাৎক্ষণিক বক্তৃতা | AEC Bengali

Photo of author

Follow G-News

অন্যদের শেয়ার করুন

আজকে তাৎক্ষণিক বক্তৃতা নিয়ে আলোচনা করব। তাৎক্ষণিক বক্তৃতা টপিকটি সাধারনত বিভিন্ন কলেজ এর মধ্যে বাংলা এর সিলেবাস এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে। আজকে এখানে যেটি উপস্থাপন করেছি, সেটি তোমাদের তাৎক্ষণিক বক্তৃতা লিখতে সহায়তা করবে। একটা তাৎক্ষণিক বক্তৃতা কিভাবে লিখতে হয় বা কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় আজ সেটি নিয়েও আলোচনা করব। তবে এটা জানার আগে আমাদের বুঝতে হবে তাৎক্ষণিক বক্তৃতা কি?

খুব সাধারণ ভাবে বললে, যখন কোন বিষয় এর ওপর ততক্ষণ বক্তৃতা দিতে হয় বা লিখে উপস্থাপন করতে হয়, তখন তাকে তাৎক্ষণিক বক্তৃতা বলে। তাৎক্ষণিক বক্তৃতা এর ব্যবহার সাধারণত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কোন এক টপিক এর ওপর একটা সুন্দর বক্তৃতা উপস্থাপন। তাৎক্ষণিক বক্তৃতা উপস্থাপন করার সময় কোন একটি বিষয় এর গভীরে গিয়ে গল্পের ন্যায় বলতে হয়।

যেমন – বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে একটি তাৎক্ষণিক বক্তৃতা উপস্থাপন করো।

আজকে তাৎক্ষণিক বক্তৃতা এর কয়েকটি উদাহরণ লিখে এখানে দিয়ে দিলাম, যেটি তোমাদের তাৎক্ষণিক বক্তৃতা সম্পর্কে একটি ধারণা প্রদান করবে।

১) বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে একটি তাৎক্ষণিক বক্তৃতা উপস্থাপন করো।

উপস্তিত শ্রদ্ধয়ে অধ্যাপক মহাশয়, প্রধান অতিথি, উপস্তিত অধ্যাপক-অধ্যাপিকাগণ ও সহপাঠি দাদা-দিদি দের আমার প্রণাম। প্রতি বছরের মতো এবছরও আমরা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন করছি।

বছরের সবগুলো দিন আমাদের কাছে সমান গুরুত্ব বহন করে না। কোন কোন দিন আসে ঔজ্জ্বল্যের প্রভা নিয়ে, নতুন প্রেরণা ও উদ্দীপনা নিয়ে। আজ পঁচিশে বৈশাখ তেমনি একটি দিন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মহৎ কবি রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন।

রবীন্দ্রনাথ আমাদের কবি- বাঙালির কবি। বাঙালির হাসি-কান্না-দুঃখ-বেদনার এমন রূপকার আর কেউ নেই। প্রাদেশিক সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ সমাধান করেছিলেন বিশ্ব দরবারে। আমাদের সাহিত্যের মানকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিয়েছিলেন এই রবীন্দ্রনাথই। তাই রবীন্দ্রনাথ আজও হৃদয়ে অবিনশ্বর। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন যেন আমাদের কাছে নতুনের বার্তা নিয়ে আসে। তাই আমরা নতুন করে শপথ নেই তাঁর জন্মদিনের। চির নতুনকে ভালবাসার শপথ। রবীন্দ্রনাথেরই ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে- “চির নতুনেরে দিল ডাক পঁচিশে বৈশাখ”।

রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা একটি বিরাট বনারতি। তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা বিস্ময়কর। কাব্য, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প, গান, প্রবন্ধ – কোথায় নেই রবীন্দ্রনাথ। তাঁর সৃষ্টি সম্ভারের যেদিকে তাকাই সেদিকেই বিপুল বিস্ময় অপেক্ষা করে থাকে। আমাদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতির পরিমন্ডলকে রবীন্দ্রনাথ করেছেন ফুলে-ফলে, ঐশ্বর্য, দীপ্তিতে পূর্ণ এক অসাধারণ ক্ষেত্র। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্য দিয়ে আমাদের হৃদয়কে শুধু বিকশিত করেনি দুর্দিনে তাঁর কবিতা ও গানই দিয়েছে আমাদের দুর্জয়, সাহস ও প্রেরণা। মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গান ছিল আমাদের প্রেরণার অন্যতম উৎস। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। রবীন্দ্রনাথের এবানীতে আমরা উদ্দীপ্ত হয়েছি। রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছের মানুষ ভালবাসবার মানুষ।

আমাদের ভালবাসার এ মানুষটিকে, এ কবিটিকে প্রতি বছর ২৫শে বৈশাখ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করি। তাঁর প্রতিটি জন্মদিনে কবিকে আমরা নতুনভাবে আবিষ্কার করি, নতুন করে উপলব্ধি করি। মনে পড়ে তাঁরই বাণী।

আরও পড়ুন: বাংলা আবেদন পত্র | AEC Bengali

“পঁচিশে বৈশাখ চলেছে
জন্মদিনের ধারাকে বহন করে
মৃত্যুদিনের দিকে ……..।”

পরিশেষে কামনা করি কবির অমৃত বাণী আমাদের চিত্তকে জাগরূক করুণ, আমাদের চিত্তকে সঞ্জিবীত করুক। সবাইকে ধন্যবাদ।


Leave a Comment