স্বাগত ছাত্র-ছাত্রীরা, আজকে তোমাদের সাথে শেয়ার করা হচ্ছে বাংলা প্রথম সেমিস্টার এর পুঁইমাচা গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর, যেগুলি তোমাদের প্রথম সেমিস্টার এর প্রস্তুতি গ্রহণে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ না হলেও, এখন থেকেই কিছু কিছু করে পড়াশোনা শুরু করাই যায়। পুঁইমাচা গল্পটির বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ বাংলায় ভিডিও আকারেও এখানে দেওয়া হয়েছে, তোমরা সেটি দেখার পর MCQ গুলি দেখলে বেশি উপকৃত হবে।
এই গল্পটি থেকে প্রথম সেমিস্টার এর পরীক্ষার মধ্যে মোট ৮ নম্বরের প্রশ্ন আসবে, এই প্রশ্ন গুলি সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক করতে পারো, তার জন্য আমরা আজকে এখানে কিছু MCQ প্রশ্ন পুঁইমাচা গল্প থেকে শেয়ার করলাম।
পুঁইমাচা গল্পের বহুবিকল্পভিত্তিক (MCQ) প্রশ্ন উত্তর
১) “কেহ কেহ বলেন যে” – কি বলে?/”ইহা দুষ্টুপক্ষের রটনা” – কি রটনা রটেছিল?
উত্তর: কালীময়, শ্রীমন্ত মজুমদারের কাছে অনেক টাকা ধার করে, সেই টাকা শোধ দিতে পারেনি বলেই শ্রীমন্তের ছেলের সাথে ক্ষান্তির বিবাহ ঠিক করে দেয়।
২) “সহায়সরি সে সম্বন্ধ ভাঙ্গিয়া দেন” – কেন?/ সীমন্ত মজুমদারের ছেলের সাথে ক্ষেন্তির বিবাহ ভেঙে যায় কেন?
উত্তর: শ্রীমন্ত মজুমদারের ছেলের সাথে ক্ষেন্তির বিবাহ ঠিক হওয়ার পর সহায়হরি জানতে পারে, পাত্রটির চরিত্র ভাল নয়। ইতিপূর্বে পাত্র গ্রামের এক কুম্ভকার বধুর আত্মীয়দের হতে মারও খেয়েছে, এই কারণেই সহায়হরি সেই বিয়ে ভেঙে দেয়।
৩) মুখুজ্যে বাড়ির ছোট খুকীর নাম কি?
(ক) ক্ষেন্তি
(খ) খুকি
(গ) দুর্গা ✔️
(ঘ) অন্নপূর্ণা
৪) “অন্নপূর্ণা কিন্তু আর একটা জিনিস লক্ষ্য করিলেন” – কি লক্ষ্য করেছিল?
উত্তর: বরোজপোতার ঘন বনের মধ্যে কোথাও খুপ খুপ করে আওয়াজ হচ্ছিল, কথা শব্দে সে আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়।
৫) সহায়হরি যে মেটে আলু এনেছিল তার ওজন কত ছিল?
(ক) ১৫ থেকে ১৬ সের ✔️
(খ) ১৪ সের
(গ) ১০ সের
(ঘ) ১০ কেজি
৬) সহায়হরিকে মেটে আলু কে দিয়েছিল বলে সে জানিয়েছিল?
(ক) গয়া বুড়ি
(খ) ময়শা চৌকিদার
(গ) মুখুজ্যে
(ঘ) এখানকার কেউ নয়
৭) ক্ষেন্তি তার মাকে পাঁচিলের ধারের ছোট খোলা জমিতে কি দেখিয়েছিল?
(ক) পাথরকুচি ও কন্টিকারীর জঙ্গল ও তার মাঝে পুঁইশাকের চারা✔️
(খ) পুইশাকের চারা
(গ) পাথরকুচি
(ঘ) কোনটি নয়
৮) “অন্নপূর্ণা তেলে বেগুনে জ্বলিয়া উঠিলেন”- কেন?
উত্তর: ক্ষেন্তি যখন অবশেষে স্বীকার করে নেয়, সে এবং তার বাবা সহায়হরি মিলে বরোজপোতার জঙ্গলে গিয়েছিল মেটে আলু চুরি করতে, এই কথা শুনেই অন্নপূর্ণা জ্বলে ওঠে।
৯) সহায়হরির কথামতো তার মেয়ে এই শ্রাবণে কত বছরে পড়বে?
(ক) ১৫ বছরে
(খ) ১৩ বছরে✔️
(গ) ১৪ বছরে
(ঘ) ১৬ বছরে
১০) “কিছুদিন নাকি শয্যাগত ছিল”- কে? কেন?
উত্তর: শ্রীমন্ত মজুমদারের ছেলে। গ্রামের এক কুম্ভকার বধূর আত্মীয়দের হাতে মার খেয়ে।
১১) “ফাঁসি হইয়া যাওয়া আসামির মত ঝুলিয়া রহিয়াছে”- কি?
(ক) পুইশাকের চারা✔️
(খ) কুচুরিপানা
(গ) চিংড়ি
(ঘ) উপরের কিছু না
১২) “জামার ইতিহাস নিম্নলিখিত রূপ জামার ইতিহাস কী?
উত্তর: হরিপুরের রাশের মেলা থেকে সহায়হরি কালো সার্জের আড়াই টাকা মূল্যের জামাটি এনেছিল তার বড় মেয়ে ক্ষেন্তির জন্য।
১৩) “ক্ষেন্তির সাহায্য লইতে স্বীকৃত হন নাই”- কে, কেন কিন্তু সাহায্য নেয়নি?
উত্তর: পৌষ সংক্রান্তিতে পাটিসাপটা বানানোর সময় ক্ষেন্তির মা অন্নপূর্ণা তার সাহায্য নিতে চায়নি কারণ, ক্ষোন্তি বনে-বাদারে ঘুরে বেড়ায়, তার কাপড় শাস্ত্র-সম্মতসূচি নয়।
১৪) ক্ষেন্তির কালো সার্জের জামাটি কোথায় থাকতো?
(ক) তার ভাঙা টিনের তোরঙ্গের মধ্যে✔️
(খ) ঘরের মধ্যে
(গ) বিছানায়
(ঘ) টারে
১৫) অন্নপূর্ণা ক্ষেন্তির জন্য নারকেলের মালাতে কি রেখেছিল?
(ক) ভাত
(খ) শাক
(গ) পাটিসাপটার জন্য মিশ্রিত গোলা✔️
(ঘ) মাছের তরকা
১৬) ক্ষেন্তির মা অন্নপূর্ণা পাটিসাপটাতে ক্ষীরের বদলে কী দিয়েছিল?
(ক) নারকেল কোরা✔️
(খ) নারকেল
(গ) মিষ্টির করা
(ঘ) এদের মধ্যে কোনটি নয়
১৭) “খেদীর ওই সব কথা”- কি কথা?
উত্তর: খেদী ক্ষেন্তিকে জানিয়েছিল ক্ষীর না-হলে ভালো পাটিসাপটা হয় না।
১৮) কে অধিক মিষ্টি খাইতে পারে না?
(ক) ক্ষেন্তি
(খ) অন্নপূর্ণা
(গ) মেজ মেয়ে পুঁটি✔️
(ঘ) সহায়হরি
এখান থেকে প্রশ্ন গুলির বিকল্প না দিয়ে, একবারে উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই প্রশ্ন গুলির ওপর বিকল্প দিয়েই পরীক্ষার সময় আসবে প্রশ্ন।
২০) “অন্নপূর্ণা দেখিলেন”- কি দেখলেন?
উত্তর: ক্ষেন্তি ব কম করে 18-19 খানা পিঠে খেয়েছে।
২১) ক্ষেন্তির বিবাহ হয়েছিল কোন মাসে?
উত্তর: বৈশাখ মাসে।
২২) ক্ষেন্তির বিবাহের ঘটকালী কে করেছিল?
উত্তর: সহায়হরির এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়।
২৩) ক্ষেন্তির সাথে বিবাহ ক্ষেন্তির স্বামীর কততম বিবাহ ছিল?
উত্তর: দ্বিতীয়।
২৪) ক্ষেন্তির স্বামীর বয়স কত ছিল?
উত্তর: চল্লিশের খুব বেশি নয়।
২৫) “প্রথমে এখানে অন্নপূর্ণা আদেও ইচ্ছে ছিলেন না”- ক্ষেন্তির বিয়েতে অন্নপূর্ণার ইচ্ছা ছিল না কেন?
উত্তর: পাত্রের বয়স অনেক বেশি বলে।
২৬) ক্ষেন্তির স্বামী কীসের ব্যবসা করত?
উত্তর: শহর অঞ্চলে সিমেন্ট, চুন, ইটের ব্যবসা করতো।
২৭) ক্ষেন্তির বিয়েতে অন্নপূর্ণা প্রথমে রাজি না-হলেও শেষে রাজি হয়েছিলেন কেন?
উত্তর: কারণ, পাত্রের অবস্থা বেশ ভালো ছিল। এরকম অবস্থা সম্পন্ন পাত্র সচরাচর পাওয়া যায় না। তাই পাত্রের বয়স বেশি হলেও অন্নপূর্ণা শেষমেষ রাজি হয়েছিল।
২৮) ক্ষেন্তি তাকে কোন মাসে আনার কথা বলেছিল?
উত্তর: বিবাহের দুমাস পর অর্থাৎ আষাঢ় মাসে।
২৯) “তোর বাবা তোর বাড়ি যাবে কেন রে, আগে নাতি হোক- তবে তো..”- কথাটি কে বলেছিল?
উত্তর: ও পাড়ার ঠানদিদি।
৩০) ক্ষেন্তির মৃত্যু হয়েছিল কোন রোগে?
উত্তর: বসন্ত রোগে।
৩১) সহায়হরি ক্ষেন্তির মৃত্যুর কারণ নিয়ে কার সাথে গল্প করছিল প্রতিবেশী?
উত্তর: বিষ্ণু সরকারের সাথে।
৩২) “মেয়ে তো কিছুতে পাঠাতে চায় না”- ক্ষেন্তির শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ে পাঠানো হয়নি কেন?
উত্তর: বিয়ের পণের আড়াইশো মতো টাকা বাকি ছিল বলে ক্ষেন্তিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাপের বাড়িতে আসতে দেওয়া হয়নি।
৩৩) সহায়হরি তার মেয়েকে কোন মাসে দেখতে গিয়েছিল?
উত্তর: পৌষ মাসে।
৩৪)সহায়হরির পূর্বপুরুষের নাম কি?
উত্তর: পরমেশ্বর চাটুজ্জে।
৩৫) কার নামে নীলকুঠি আমলে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত?
উত্তর: সহায়হরির পূর্বপুরুষ পরমেশ্বর চাটুজ্জের নামে।
৩৬) সহায়হরি, তার মেয়েকে শেষ কবে দেখেছিল?
উত্তর: বিয়ের ৯ মাস পর, পৌষ মাসে।
৩৭) ক্ষেন্তির মৃত্যু হয় কোন মাসে?
উত্তর: ফাল্গুন মাসে।
৩৮) প্রথম পিঠেখানা পুঁটি কাকে দিয়ে এসেছিল?
উত্তর: ষাঁড়া ষষ্ঠীকে।
৩৯) “সেই লোভী মেয়েটির স্মৃতি”- স্মৃতিটি কি?
উত্তর: ক্ষেন্তির স্মৃতি, তার সাধের পোঁতা পুঁই গাছ। –