সাম্যবাদী কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর | সাম্যবাদী কবিতার MCQ (PDF) বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর

By

সাম্যবাদী কবিতার mcq প্রশ্ন ও উত্তর

সাম্যবাদী কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর: একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবারও সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাংলা কবিতা সাম্যবাদী এর বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর এবং এর মক্ক টেস্ট আজকের পোস্টে শেয়ার করলাম, যেগুলি তোমাদের সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণে বিশেষ ভাবে সাহায়তা করবে।

সময় নষ্ট না করে এখানে দেওয়া বহুবিকল্প প্রশ্ন উত্তর গুলি দেখে নাও এবং প্রয়োজনে সংগ্রহ করে নাও।

সাম্যবাদী কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর MCQ

১। ‘সাম্যবাদী’ কবিতার রচনাকার ___________ ?

উ: কাজী নজরুল ইসলাম।

২। সাম্যবাদী কবিতায় কবি কিসের গান গেয়েছেন?

  • সাম্যের গান ✔️
  • গ্রামের গান
  • সমাজের গান
  • অতীতের গান

৩। নজরুল ইসলাম এর মতে, এই হৃদয়ের চেয়ে বড়ো __________ নেই।

উ: মন্দির-কাবা নেই।

৪। আরব দুলাল কোথায় বসে আহ্বান শুনতেন?

উ: কন্দরে (হৃদয় মাঝে)

৫। কে মহাবেদনার ডাক শুনেছিল?

  • নজরুল ইসলাম
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • শাক্য মুনি ✔️ [শাক্য মুনি বলতে বুঝিয়েছে গৌতম বুদ্ধকে]
  • উপরের একটিও নয়

৬। পন্ডশ্রম শব্দের অর্থ _______।

উ: ব্যর্থ চেষ্টা।

৭। বিভিন্নযুগে অবতীর্ণ মহাপুরুষদের কি বলা হয়?

উ: যুগাবতার

৮। সাম্যবাদী কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

  • গোরা
  • সাম্যবাদী ✔️
  • শান্তি
  • উপরের একটিও না

৯। সাম্যবাদী কবিতায় কবির কোন প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে?

উ: বৈষম্যহীন অশ্রান্তদায়িক মানব সমাজের গঠনের প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে।

সাম্যবাদী কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর

১০। কোন গ্রন্থ থেকে সাম্যবাদী কবিতাটির সংকলন করা হয়েছে?

  • সাম্যবাদী গ্রন্থ
  • গোড়া গ্রন্থ
  • নজরুল রচনাবলী গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে✔️

১১। সাম্যবাদী কাব্যটি কবে প্রকাশিত হয়?

  • ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে মে মাসে
  • ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে ✔️
  • ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে
  • ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বর মাসে

১২। কবিতা অনুসারে সকল প্রকারের শাস্ত্র কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে?

উ: মানুষের নিজ প্রাণে আথবা মানুষের নিজ অন্তরে বা হৃদয়ে।

১৩। সাম্যের কাছে এসে কি এক হয়ে যায়?

  • মানুষ
  • মানুষের হৃদয়
  • সব বাধা-ব্যবধান ✔️
  • সবরকম মানুষ

১৪। কবিতায় কবির মতে মসজিদ, মন্দির, গির্জার অবস্থান ____________।

উ: মানুষের হৃদয়ে।

১৫। ত্রিপিটক কি?

উ: বৌদ্ধের ধর্মগ্রন্থ।

১৬। চার্বাক কে?

উ: চার্বাক একজন বস্তুবাদী দার্শনিক এবং মুনি।

১৭। কন্দরে শব্দের অর্থ _________।

  • নদী উপত্যকা
  • পর্বত উপত্যকা
  • পর্বত
  • পর্বতের গুহায়✔️

১৮। পারস্যের অগ্নি উপাসকদের ধর্মগ্রন্থের ভাষার নাম কি?

উ: জেন্দা।

১৯। কবি কি ধরনের সঙ্গীত পরিবেশন করতে আগ্রহী ছিলেন।

  • টপ্পা
  • ভাটিয়ালী
  • লোকসংগীত
  • মানবিক মেলবন্ধনের সংগীত ✔️

২০। __________ দোহাই দিয়ে মানুষ পরস্পরকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।

উ: ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠীর দোহাই দিয়ে।

সাম্যবাদী কবিতার MCQ/বহুনির্বাচনীয় প্রশ্ন উত্তর

২১। কবিতায় দেউল বলতে কি বুঝিয়েছে?

উ: মন্দির বা দেবালয়।

২২। নীলাচল কি?

আরও পড়ুন:  চারণ কবি ভারভারা রাও MCQ প্রশ্ন উত্তর |একাদশ শ্রেণী বাংলা

উ: নিলবর্ণ যুক্ত পাহাড়।

২৩। কবিতায় কবির কোন দিক ফুটে উঠেছে?

উ: অসাস্ত্রদায়িকতা।

২৪। সাম্যবাদী কবিতায় কবি কয়টি ধর্ম বা গোষ্টির কথা তুলে ধরেছে?

  • ৫ টি ✔️
  • ৪ টি
  • ৩ টি
  • ২ টি

২৫। কবিতায় কয়টি পর্বতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে?

উ: ১ টি।

২৬। সাম্যবাদী কবিতায় কোন বিপ্লবের উল্লেখ রয়েছে/

  • শিল্প বিপ্লব
  • দুগ্ধ বিপ্লব
  • রুশ বিপ্লব ✔️
  • উপরের একটিও নয়

২৭। সাম্যবাদী কবিতাটি সর্বপ্রথম কোন পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে?

  • আনন্দবাজার পত্রিকা
  • লাঙল পত্রিকায় ✔️
  • নব্যপরিচয় পত্রিকায়
  • উপরের একটিও নয়

২৮। ‘গাহি সাম্যের গান’ – এখানে সাম্যের গান বকতে কি বুঝিয়েছে?

  • সময়ের গান
  • সবার গান
  • মানুষের হৃদয়ের গান
  • সমতার গান ✔️

২৯। কবি সাম্যের গান গেয়েছেন কেন?

উ: মানুষের মধ্য থেকে ভেদ দূর করতে।

৩০। কবিতায় কাকে মৃত কংকালের সাথে তুলনা করা হয়েছে?

উ: পুঁথিকে।

৩১। _________ চেয়ে বড়ো মন্দির কাবা নেই?

উ: মানুষের হৃদয় এর চেয়ে।

শেষ কথা: এখানে শুধুমাত্র MCQ প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হয়নি, এখানে সেমিস্টার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো অনুযায়ী সাম্যবাদী কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর গুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।


Evolution of Urban Settlement

        নগরের উৎপত্তি সভ্যতার বিকাশ ও ভৌগোলিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় যে, কৃষিভিত্তিক সমাজে উদ্‌বৃত্ত শস্য একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় জমা করা বা কেন্দ্রীভূত করার উপায় উদ্ভাবনা না হওয়া পর্যন্ত নগর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। সমাজ এই পর্যায়ে উন্নীত না হলে, সামাজিক ঐতিহ্যের কেন্দ্র হিসেবে এবং ওই ঐতিহ্যকে চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নগরের উদ্ভব সম্ভব নয়।

Evolution of Urban Settlement Ancient Cities : 1st Stage

নব প্রস্তর যুগ: নব প্রস্তর যুগ বা নিওলিথিক যুগ বা কাল (Neolithic Age)-এর শেষভাগে মানুষ স্থায়ীভাবে একস্থানে বসবাস করতে শুরু করে। ওই স্থায়ী বসতিকে কেন্দ্র করে গ্রামের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীকালে ওই গ্রাম থেকে নগর জন্মলাভ করে। নব প্রস্তর যুগের সব গ্রামই নগরে রূপান্তরিত হয়নি। উপযোগী জলবায়ু, উর্বর মৃত্তিকা, উদ্‌বৃত্ত সামগ্রী বিনিময়ের সুযোগ, সেচ ব্যবস্থার প্রসার, পরিবহণ ক্ষেত্রে চাকা-লাগানো গাড়ি বা চক্রযানের প্রবর্তন, লিখনপদ্ধতির আবিষ্কার প্রভৃতি বিভিন্ন সুযোগসুবিধা, তৎকালীন বহু গ্রামকে নগরে রূপান্তরিত করেছিল।

জর্ডন উপত্যকা : (Jordan Basin)

          ফসল উৎপাদন ও পশুপালনের সমন্বয়ে ও সাহায্যে খাদ্য–সংগ্রহকারী হতে খাদ্য উৎপাদকের ভূমিকায় উন্নীত হবার ধাপকে প্রাচীন মানব জীবনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন বলা যেতে পারে। ঐতিহাসিকদের মতে নগরায়ণের বিকাশ সর্বপ্রথম ঘটে দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার একটি ছোট ভূখণ্ডে। এই এলাকাটি এশিয়ার পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার জর্ডন নদী উপত্যকায় অবস্থিত জেরিকো (Jericho) নামক স্থানে ঐ বসতি জন্মলাভ করে। ঐ স্থানের একটি প্রস্রবণের অবিরাম জলধারাকে কেন্দ্র করে প্রথমে একটি মন্দির তৈরী হয় এবং কালক্রমে ঐ প্রস্রবণ, মন্দির এবং ফসল উৎপাদনকে অবলম্বন করে স্থায়ী বসতি গড়ে ওঠে। Carbon-14 নিরীক্ষা অনুসারে ঐ মন্দিরের নির্মাণকাল, খৃষ্টপূর্ব 7800 অব্দ এবং কৃষি ও পশুপালন-ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা।

আরও পড়ুন:  বিড়াল প্রবন্ধ MCQ প্রশ্ন উত্তর PDF | সেমিস্টার ১ বিড়াল প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

         প্রাচীনতম নগর: ঐতিহাসিকদের মতে, জর্ডন নদী উপত্যকার জেরিকো (Jericho) আজ থেকে আনুমানিক নয় হাজার বছর আগে পৃথিবীর প্রথম নগর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

ইউফ্রেটিসটাইগ্রিস নদী উপত্যকা: (Tigris- Euphrates Basin)

         আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব চার সহস্রাব্দের শেষভাগে ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদী উপত্যকা বা মেসোপটেয়াতে সুমেরীয় সভ্যতার অন্তর্গত ইরেখ, এরিডু, ঊর, লাগমে, লারশা, কিশ ও জেমদেত নাসর নামে অনেকগুলি ছোটো ছোটো নগর গড়ে ওঠে। জলসেচ, জলনিষ্কাশন, কৃষিব্যবস্থার উন্নতি প্রভৃতি কারণে এই নগরগুলির সৃষ্টি হয়।

নীলনদ উপত্যকা: (Nile Basin)

          লিখন পদ্ধতির প্রবর্তনকে নগরসভ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিচার করলে দেখা যায়, খ্রিস্টপূর্ব 3,100 অব্দ নাগাদ নীলনদের নিম্ন উপত্যকা এবং বদ্বীপ অঞ্চলের গ্রামকে ভিত্তি করেঅনেক জায়গায় নগরের সৃষ্টি হয়। এদের মধ্যে বুটো, সাইস, হেলিওপোলিস, এবিডস, নেখেব, নেখেন, সেইন, বুহেন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বেসিন ইরিগেশন (Basin Irrigation) বা উপত্যকা সেচব্যবস্থার প্রসার, কৃষিকাজে উন্নতি, স্থানীয় বাজারের উদ্ভব প্রভৃতি কারণে এখানে নগরসভ্যতার পত্তন হয়।

সিন্ধুনদ উপত্যকা: (Indus Basin)

         প্রাচীন সভ্যতার আর একটি কেন্দ্রস্থল হল সিন্ধুনদের অববাহিকা। খ্রিস্টপূর্ব 2500,1500 অব্দের মধ্যে সিন্ধু ও ইরাবতী নদীর তীরে যথাক্রমে মহেন-জো-দারো ও হরপ্পাকে কেন্দ্র করে একটি উন্নত নগরসভ্যতার বিকাশ ঘটে। কোয়েটো, নল, কৃষ্টি প্রভৃতি এই এলাকার তৎকালীন প্রাচীন নগর। উন্নত জলসেচ ব্যবস্থা, কৃষির প্রসার ইত্যাদির জন্য এখানে নগরব্যবস্থার উদ্ভব হয়।

হোয়াংহো উপত্যকা: (Hwanho Basin)

          দূর প্রাচ্যের হোয়াংহো অৱবাহিকায় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব দেড় সহস্রাব্দের কাছাকাছি সময়ে প্রাচীন নগরসভ্যতার বিকাশ ঘটে। সাঙ্ সভ্যতার অন্যতম স্মারক হিসেবে সাঙ্ নগর, চেংচো, আনিয়াং ইত্যাদি নগরবসতিগুলি উন্নত পৌরজীবনের সাক্ষ্য বহন করে। মূলত, কৃষিকাজের উন্নতি এখানে প্রাচীন নগরগুলি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

মায়া সভ্যতা (Maya Civilisation) :ইউকাটান, গুয়াতেমালা মেক্সিকো নদী উপত্যকা:

খৃষ্টজন্মের কয়েক শতাব্দী আগে উত্তর আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ইউকাটান, গুয়াতেমালা এবং মেক্সিকো নদী উপত্যকায় আর একটি নতুন সভ্যতার জন্ম হয়। এদের মধ্যে একমাত্র মায়া সভ্যতা ছাড়া অন্যান্য সভ্যতার বিশেষ পরিচয় জানা যায়নি। মায়া সভ্যতার আশ্রয়ে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নগর গড়ে ওঠে। যেমন টিকল, উকসাটান, চিচেন, ইটজা, মায়াপান, কোপান ও পালেন-ক্যুই। ভুট্টা এই অঞ্চলের প্রধান খাদ্য ছিল। সেচ ব্যবস্থার প্রচলন না থাকলেও নদী বাহিত উর্বর মৃত্তিকা এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল উন্নত কৃষি ব্যবস্থা যা এখানে উদ্বৃত্ত ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে নগর সৃষ্টির সহায়ক হয়।

আরও পড়ুন:  পুঁইমাচা গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর | Semester 1 Bengali MCQ

Evolution of Urban Settlement : 2nd Stage

গ্রিক রোমান সভ্যতা (খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ থেকে চতুর্থ খ্রিস্টাব্দ): 

          পৌরসভ্যতার দ্বিতীয় পর্বের বিকাশ ঘটে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ থেকে চতুর্থ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গ্রিক ও রোমান সভ্যতার আমলে। লোহার যন্ত্রপাতি এবং অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার, অক্ষরের সাহায্যে লিখন-প্রথা, উন্নত ধরনের পালচালিত সমুদ্রগামী জাহাজ, মুদ্রাপ্রথা, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং উপনিবেশ স্থাপনের মারফত উৎপাদন বৃদ্ধি, বাণিজ্যের শ্রীবৃদ্ধি এবং রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নতি নগরায়ণের গতিকে দ্রুততর করে তোলে। এর ফলে অসংখ্য নগরের সৃষ্টি হয়। গ্রিকদের দ্বারা স্থাপিত স্পার্টা, করিন্‌থ, মেগারা, বাইজেনটিয়ান, এথেনস্, এপোলোনিয়া, পেলা প্রভৃতি নগর উল্লেখের দাবি রাখে। ইতালিতে এই সময়ে যে সমস্ত নগরগুলি গড়ে উঠেছিল, সেগুলি হল রোম, পিসা, পেরুলিয়া সিরাক্যুজ, এঙ্কোনা, নিওপলিস ইত্যাদি। উপনিবেশবাদের প্রভাবে এই সময়ে রোমানদের দ্বারা স্থাপিত সাম্রাজ্য ও তার প্রভাব উত্তরে ইংল্যান্ড থেকে রাইন নদী ও মধ্য ইউরোপ পর্যন্ত, পূর্বে অধুনা বলকান থেকে মধ্য এশিয়ার পশ্চিম প্রান্ত, পশ্চিমে স্পেন এবং দক্ষিণে উত্তর আফ্রিকার টিউনিসিয়া, লিবিয়ার উত্তর ভাগ এবং মিশর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

          উত্তরাঞ্চলে শীতল জলবায়ু অঞ্চলে নগরায়ণের প্রসার এবং বৃহৎ নগর সৃষ্টি রোমান সভ্যতার সর্বাপেক্ষা বড়ো অবদান। এইসব নগরের অনেকগুলি আজও বর্তমান। যেমন—লন্ডন, ব্রাসেলস, ইউট্রেক্‌ট ইত্যাদি। রোমান সাম্রাজ্যের অনেক দুর্গকে আশ্রয় করে পরবর্তীকালে বহু বিখ্যাত নগরের আবির্ভাব ঘটেছে। যেমন—অ্যানট্ওয়ার্প, ফ্রাঙ্কফুর্ট, হামবুর্গ, ওয়ারশ, বুদাপেস্ট ইত্যাদি।

          রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর পাঁচশো খ্রিস্টাব্দ থেকে এক হাজার খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাঁচশত বছরে আল্পস । পর্বতের উত্তরে ইউরোপের বাকি অংশে নগরসভ্যতার বিবর্তন প্রায় থেমে ছিল। এই সময়কে ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ’ বলে। আনুমানিক এক হাজার খ্রিস্টাব্দ থেকে আবার ইউরোপের ওই অংশে নগরায়ণের পক্ষে অনুকূল আবহাওয়া গড়ে উঠতে থাকে। ফলে রাজধানী ও বন্দরাশ্রয়ী নগরগুলির উন্নতি হয়। পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ড, রাশিয়ার তৃণভূমি অঞ্চল এবং মধ্য ও নিম্ন দানিয়ুবের প্লাবনভূমি এলাকায় এই সময় অনেকগুলি নতুন নগর গড়ে ওঠে।

Evolution of Urban Settlement : 3rd Stage

       ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত নগর সভ্যতার তৃতীয় পর্যায়। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি, শিল্পের প্রসার এবং কারিগরি ক্ষেত্রে নিত্যনতুন আবিষ্কারের সুফল এই পর্যায়ে নগরায়ণের মাত্রাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে।

         তবে পৌরায়ণের গতি পৃথিবীর সর্বত্র সমান নয়। পৌর এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাকে সূচক হিসেবে ধরলে নগরায়ণের হার বুঝতে পারা যায়।

        এখানে উল্লেখ করা যায় যে, পৌরায়ণের মান ইউরোপের চেয়ে উত্তর আমেরিকায় অনেক উন্নত। আবার এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নগর জীবনের মান অনুন্নত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও পরিব্রাজনের চাপ এশিয়ার শহরগুলির আকৃতি ও প্রকৃতিকে প্রভাবিত করেছে।

Leave a Comment