বিড়াল প্রবন্ধ MCQ প্রশ্ন উত্তর PDF | সেমিস্টার ১ বিড়াল প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

By

বিড়াল প্রবন্ধ MCQ প্রশ্ন উত্তর PDF

বিড়াল প্রবন্ধ MCQ প্রশ্ন উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ একটি আকর্ষণীয় রম্যরচনা। প্রবন্ধটি ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। আজকে আমরা তোমাদের সামনে ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের কিছু MCQ প্রশ্ন উত্তর তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম, যেগুলি তোমাদের প্রথম সেমিস্টার এর প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে।

বিড়াল প্রবন্ধ থেকে বেছে বেছে তোমাদের সাথে প্রায় ৩০ টার মতো বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করলাম, যেগুলি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণে বিশেষ ভাবে সহায়তা করবে। অতএব আর দেরি না করে ছটফট দেখে নাও প্রশ্ন উত্তর গুলি।

০১. ‘নিজ কর্ম-দোষে, হায়, মজাইলা এ কনক-লঙ্কা’- এই কর্ম-দোষ হলো-

ক. মেঘনাদের✔️

গ. বিভীষণের

খ. রাবণের

ঘ. সূর্পনখার

০২. ‘নিজ কর্ম-দোষে, হায়, মজ়াইলা এ কনক-লঙ্কা’- এই কর্ম-দোষ হলো-

ক. মেঘনাদের ✔️

খ. রাবণের

গ. বিভীষণের

ঘ. সূর্পনখার

০৩. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিচের কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?

ক. বঙ্গদর্শন✔️

খ. সংবাদ প্রভাবক

গ. দিগদর্শন

ঘ. কল্লোল

০৪. নিচের কোনটি কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের চরিত্র?

ক. নরকুমার✔️

গ. মহিম

খ. সুরেশ

ঘ. বিহারী

০৫. চোরকে ফাঁসি দেওয়ার পূর্বে বিচারকে কয়দিন উপবাস থাকতে বলেছে বিড়াল?

ক. সাত দিন

খ. তিন দিন✔️

গ. দুই দিন

ঘ. পাঁচ দিন

০৬. ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে কী চেতনা প্রকাশ পেয়েছে?

ক. মানবিকতা

খ. পরোপকারী ধর্ম

গ. নৈতিকতা

ঘ. সমাজতান্ত্রিক চেতনা✔️

০৭. ‘বিড়াল’ রচনায় উল্লিখিত ওয়েলিংটন কে?

ক. রাজনীতিবিদ

খ. বীরযোদ্ধা✔️

গ. সভাসদ

ঘ. দার্শনিক

০৮. ‘লাঙ্গুল’ শব্দের অর্থ:

ক. লাঙ্গল

খ. বিড়াল

গ. লেজ✔️

ঘ. আঙ্গুল

০৯. ‘যুগন্ধর সাহিত্য স্রষ্টা’ বলা হয় কাকে?

ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়✔️

গ. প্রমথ চৌধুরী

ঘ. সৈয়দ মুজতবা আলী

১০. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থটি কয়টি অংশে বিভক্ত?

ক. তিনটি✔️

খ. চারটি

গ. পাঁচটি

ঘ. ছয়টি

১১. ‘সবুজপত্র’ পত্রিকাটি, কোন ধরণের?

ক. দৈনিক

খ. সাপ্তাহিক

গ. পাক্ষিক

ঘ. মাসিক✔️

১২. ‘বিড়াল’ প্রবন্ধে কার কথা ভারি সোসিয়ালিস্টিক?

ক. কমলাকান্ত

খ. ডিউক

গ. মার্জার✔️

ঘ. ধনী ব্যক্তি

১৪. ‘বিড়াল’ প্রবন্ধে পতিত আত্মা কে?

ক. কমলাকান্ত

খ. মার্জার✔️

গ. ডিউক

ঘ. নমীরাম বাবু

১৬. ‘বিড়াল’ প্রবন্ধ অনুসারে কোন কথাটি অসামঞ্জস্যপূর্ণগ্ন –

ক. খেতে পেলে কেউ চোর হয় না

খ. ধনীরাই সবচেয়ে বড় চোর।✔️

গ. অনেকের চুরি করার প্রয়োজন হয় না।

ঘ. ধনীগণ চোর অপেক্ষা অধার্মিক।

১৭. ‘বিড়াল’ রচনায় কোন যুদ্ধের ইঙ্গিত রয়েছে?

ক. ওয়াটার লু’র যুদ্ধ✔️

গ. ইরাক যুদ্ধ

খ. মুক্তিযুদ্ধ

ঘ. পাক-ভারত যুদ্ধ

১৮. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস কোনটি?

ক. আলালের ঘরের দুলাল

গ. কেরী সাহেবের মুন্সি

খ. দুর্গেশনন্দিনী✔️

ঘ. বউ ঠাকুরানী হাট

১৯. ‘সরিষাভোর’ শব্দটি কোন রচনায় পাওয়া যায়?

ক. বিড়াল ✔️

খ. চাষার দুক্ষু

গ. অপরিচিতা

ঘ. সেই অস্ত্র

২০. বাংলা সাহিত্যে সাহিত্যসম্রাট উপাধিতে কে ভূষিত হন?

ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়✔️

গ. সৈয়দ মুজতবা আলী

ঘ. প্রমথ চৌধুরী

২১. আহার প্রস্তুত না হওয়ায় কমলাকান্ত হুঁকা হাতে কী ভেবেছিলেন?

ক. তিনি যদি নেপোলিয়ন হতেন✔️

খ. তিনি যদি সক্রেটিস হতেন

আরও পড়ুন:  পুঁইমাচা গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর | Semester 1 Bengali MCQ

গ. তিনি যদি এরিস্টটল হতেন

ঘ. তিনি যদি বাল্মীকি হতেন

২২. ‘কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায়, কই।’ -এই প্রবচনটি রয়েছে যে রচনায়:

ক. অপরিচিতা

খ. বিড়াল✔️

গ. চাষার দুক্ষু

ঘ. আহ্বান

২৩. বঙ্কিমচন্দ্রের পেশাগত পদরি কী ছিল?

ক. ডেপুটি কাউন্সিলর

গ. ডেপুটি রেজিস্ট্রার

খ. ডেপুটি কমিশনার

ঘ. ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট✔️

২৪. ‘বিজ্ঞ লোকের মত এই যে, যখন বিচারে পরাস্ত হইবে, তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে।’ – পঙ্ক্তিটি কোন রচনার অন্তর্গত?

ক. চাষার দুক্ষু

খ. বিড়াল✔️

গ. আমার পথ

ঘ. জীবন ও বৃক্ষ

২৫. ‘মার্জার’ শব্দের অর্থ কী?

ক. মাছরাঙা

খ. বায়স

গ. মৌমাছি

ঘ. বিড়াল✔️

২৬. ‘বিড়াল’ মূলত কোন্ ভাষায় শব্দ?

ক. পর্তুগিজ

খ. মুন্ডা✔️

গ. সাঁওতাল

ঘ. মারমা

২৭. ‘সাম্য’ গ্রন্থের লেখক কে?

ক. কাজী নজরুল ইসলাম

খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়✔️

গ. কর্লি মার্কস

ঘ. প্রমথ চৌধুরী

২৮. ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের কথাগুলো কোন ধরনের?

ক. ধনতান্ত্রিক

খ. সমাজতান্ত্রিক✔️

গ. রাজতান্ত্রিক

২৯. বাংলা সাহিত্যের কে বাংলার স্কট?

ঘ. পশুতান্ত্রিক

ক. বঙ্কিমচন্দ্র✔️

গ. রামমোহন রায়

খ. প্রমথ চৌধুরী

ঘ. ঋষিকেশ শর্মা

৩০. ‘একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হতে আলোকে আনিয়াছি’- তোমার পঠিত কোন রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে?

ক. আমার পথ

খ. চাষার দুক্ষু

গ. বিড়াল✔️

ঘ. অপরিচিতা

৩১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ইংরেজি উপন্যাস-

ক. Rajmohons Wife✔️

গ. Rammohons Wife

খ. Rajnarayon Wife

ঘ. কোনটিই নয়


Morphological  Structure of Urban Settlement.

     নগর বসতি ক্রমাগতভাবে গড়ে ওঠা অকৃষি পেশায় নিয়োজিত পুঞ্জিভূত বসতি কে বোঝায়। কার্যাবলীর বিভিন্নতা নগরের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কার্যাবলীর এই বিভিন্ন তার জন্য নগরের ভূমি ব্যবহারে ও বিভিন্নতা লক্ষণীয়।ভিন্ন ভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য নগরীর ভিন্ন ভিন্ন অংশও ব্যবহৃত হয়।ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, পরিবহন, শিক্ষা, চিত্তবিনোদন প্রভৃতির অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দেখা যায়।নগর এক্কেবারে পরিকল্পিত উপায়ে গড়ে উঠতে পারে না। প্রত্যেক নগর এর মধ্যে কিছু কিছু খালি জায়গা থাকে। অবশ্য আগের এইসব খালি জায়গার নগরী ও কার্যাবলী আওতায় চলে আসে।

         নগরীর ভূমি ব্যবহারকে শ্রেণীবদ্ধ করা বেশ কঠিন ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের ভূমি ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে Harland Bartholomew সর্বপ্রথম নগরের ভূমি ব্যবহারকে শ্রেণীবদ্ধ করার চেষ্টা করেন। এই শ্রেণীবিভাজন পদ্ধতির অন্যতম দিক হচ্ছে নগরীর এলাকাকে ব্যক্তিগত ও সহকারী এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়।তিনি এই বিভাজন পদ্ধতি ব্যবহার থেকে ভূমি মালিকানা ও উন্নয়নের ধরনের দিকে বেশি আলোকপাত করেছেন। আমার সরকারি ও আধা সরকারি ভূমি ব্যবহার, শ্রেণি মালিকানা, ভূমি ব্যবহারের নতুন বিভাজন ও তিনি দেখিয়েছেন। সরকারি আধা-সরকারি ভূমি ব্যবহারে সংগতি রাখা বেশ কঠিন।Bartholomew এর শ্রেণীবিভাগ এর উদ্দেশ্য ভালো ছিল।কিন্তু সমালোচকরা এই শ্রেণীবিভাজন এর সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত এবং নগরের ভূমি ব্যবহারে এর সম্পূর্ণ প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দেন।তবুও যুক্তরাষ্ট্রীয় নগর ভূমি ব্যবহার গবেষণা ও পরিকল্পনায় এই শ্রেণীবিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।বর্তমানে একটি পেশাদারী পরিকল্পনাবিদ সংগঠন পূর্বোক্ত শ্রেণীবিভাগের দূর্বলতার দিকে লক্ষ রেখে নগর ভূমি ব্যবহারের শ্রেণীবিভাগ করেছেন। ভূমি ব্যবহারের বৈশিষ্ট্য গুলোর চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হল।

        নানা বিধ কার্যাবলীর ফলে শহরের নানা প্রকার ভূমি ব্যবহার দেখা গেল সাধারণভাবে নগরের ভূমি ব্যবহারকে তিনটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায় যথা—

আরও পড়ুন:  WBCHSE Semester Exam Pattern: প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টার এর প্রশ্নের ধরণ কেমন হবে? জানিয়ে দিল শিক্ষা সংসদ

        ১. বাণিজ্যিক ভূমি ব্যবহার commercial land use.

        ২. আবাসিক ভূমি ব্যবহার residential landuse

        ৩. শিল্প সংক্রান্ত ভূমি ব্যবহার industrial land use

          এই তিনটি প্রধান শ্রেণীবিভাগকে আবার উপবিভাগকে ভাগ করা যায়। এছাড়াও নগরে আরও বিভিন্ন ধরনের ভূমি ব্যবহার রয়েছে। যেমন শিক্ষা প্রশাসনিক বিনোদন প্রভৃতির জন্য ভূমির ব্যবহার আলাদা।

 নগরের কায়িক গঠনে বিভিন্ন শক্তির প্রভাব:- নগরের কাইক গঠনে দু’প্রকার শক্তির প্রভাব দেখা যায়। যথা 1.কেন্দ্রাতিগ শক্তি ২.কেন্দ্রাভিক শক্তি। নিম্নে এই দুটি শক্তির প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

A) কেন্দ্রাতিগ শক্তি(Centrifugal Force):–

        কেন্দ্রাতিগ শক্তি বিশ্লেষণে Charles E. Colby উৎপাদনকারী অবস্থা ও প্রান্তীয় বলয়ের আকর্ষণকারী গুণাবলী নামক এই দু’টি দিক বিবেচনা করেন ।

 . কেন্দ্র ত্যাগের অবস্থা ( Uprooting Condition)– কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে কোনো কর্মকাণ্ডের স্থানান্তরের অবস্থাগুলো বিশ্লেষণে Charles E. Colby বলেন ভূমি ও সম্পদের পরিবর্তনের জন্য জায়গার অভাব অস্বস্তিকর বিষয় এড়ানো, কারখানা মালিকের ইচ্ছা, আইনগত অসুবিধা,এলাকার সামাজিক গুরুত্ব কমে আসা প্রভৃতি স্থানান্তরের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখে।

. প্রান্তিক মন্ডলের আকর্ষণকারী গুণাবলী:– এটিই মূূল উৎপাদনকারী শক্তিগুলোর বিপরীত। আকর্ষণকারী গুণাবলীর উপস্থিতি কেন্দ্রাতিগ শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। যেসব বিষয়ে প্রান্তিক এলাকায় আকর্ষণ সৃষ্টি করে সংখ্যায়  তা অনেক হতে পারে। তবে এগুলোকে সাধারণত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা–

1. বিরাট খালি জায়গার উপস্থিতি যার ফলে তুলনামূলক কম দামে জমি পাওয়া যায়। এখানকার জমির করের হারও কম।

2. স্থানান্তরের জন্য উপযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থার উপস্থিতি।

3. সমতল ভূমি জল প্রভৃতি উপস্থিতি এবং আকর্ষণীয় অবস্থানের সুবিধা।

4. নিয়ন্ত্রিত কিংবা তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিত শব্দ পচা দুর্গন্ধ প্রভৃতি অস্বাস্থ্যকর বিষয় যুক্ত অবস্থার উপস্থিতি।

     আবার কেন্দ্র থেকে অবস্থা ও আকর্ষণকারী শক্তিগুলোকে 6 টি ভাগে ভাগ করে উপস্থাপন করা যায় যেমন—

1. পারিসরিক শক্তি Spatial force:– কেন্দ্রীয় এলাকায় অতিরিক্ত পুঞ্জিভূত হওয়ার কারণে কর্মকান্ডের উচ্ছেদ এবং প্রান্তিক এলাকায় খালি জায়গার আকর্ষণের সঙ্গে এই শক্তি জড়িত।

2. স্থানিক শক্তি Site force:– কেন্দ্রীয় এলাকার প্রতিনিধি সন্নিবিষ্ট ভূমি ব্যবহার এবং বিপরীত প্রান্ত এলাকার বিশেষ সুবিধা যুক্ত স্থানের উন্মুক্ত বায়ু ব্যবহৃত ভূমির সঙ্গে এই শক্তি জড়িত।

3. অবস্থানিক শক্তি Situational Force:– কেন্দ্রীয় এলাকায় অসন্তোষজনক ভাবে কাজের পর্যাপ্ত স্থানের অভাব এবং দলবদ্ধ হওয়া থেকে এই শক্তির উদ্ভব হয়, তখন প্রান্ত এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। এক্ষেত্রে পরিবহন সুবিধার আওতায় নগরের প্রান্তে কোন একটি কার্যাবলী বিস্তৃতি লাভ করে।

4. সামাজিক মূল্যায়ন এর শক্তি Force of social evaluation:– কেন্দ্রীয় এলাকায় উচ্চভূমি মূল্য, উচ্চ কর, সামাজিক শ্রেণী বিভক্তি ও মূল্যবোধের অভাব প্রভৃতি কারণে স্থানান্তরের আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং কম মূল্য, কম কর হার, পূর্বতন দখলে চাপমুক্ত অবস্থা প্রাপ্ত এলাকায় আকর্ষণ সৃষ্টি করে।

5. ঘটনার মর্যাদা এবং সংগঠন Status and organisation of occurrence:– নগরের কেন্দ্র স্থানে প্রাচীন কার্যকরী আকার ধরণ প্রভৃতির স্থবিরতা যানজট অসন্তোষজনক পরিবহন ব্যবস্থার বিপরীতে প্রান্ত এলাকায় আধুনিক আকার, গতিশীল যানজটমুক্ত অবস্থা, উচ্চ সন্তোষজনক পরিবহনের সুবিধার এই শক্তি জড়িত।

আরও পড়ুন:  সাম্যবাদী কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর | সাম্যবাদী কবিতার MCQ (PDF) বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর

6. মানবিক ভারসাম্যকরণ Human Equation:- মানুষের ধর্ম ও ব্যক্তিগত পছন্দ, ব্যবসার বিস্তৃতি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রভৃতি থেকে এই শক্তির উদ্ভব হয়।

B) কেন্দ্রাভিগ শক্তি Centripetal Force:– নগরের কেন্দ্রীয়় এলাকা হচ্ছে তার আশেপাশের সমগ্র  এলাকার অভিকর্ষ কেন্দ্র। নগর উন্নয়নে কেন্দ্রাভিগ শক্তি কেন্দ্রীয় স্থানে কার্যকর থাকে।এখানে ভূমির প্রগাঢ় ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গেই ভূমি মূল্য খুব বেশি হয়।এর থেকে বোঝা যায় যে এখানে অনেক কার্যাবলীর জন্য আকর্ষণীয় সম্পদ ও গুণাবলী রয়েছে।যাইহোক কেন্দ্রাভিগ প্রবণতাকে পাঁচটি শক্তির মাধ্যমে আলোচনা করা যায়। যেমন—

. স্থানের আকর্ষণ (site attraction)– প্রতিটি নগরী একটি সুবিধাজনক প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য কে ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।কলকাতা মহানগরীর ডান দিক দিয়ে গঙ্গা নদী বয়ে গেছে, ঢাকা শহরের নিকটবর্তী পদ্মা নদী বয়ে গেছে, লন্ডনের পাশ দিয়ে টেমস নদী বয়ে গেছে, নিউইয়ার্কে রয়েছে পর্যাপ্ত জলসীমানা, মন্ট্রিলে এর আছে জল পরিবেষ্টিত ছোট  অন্তরীপ। এভাবে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে কেন্দ্রীয় বিস্তৃতি লাভ করে।

. ক্রিয়ামূলক সুবিধা (functional convenience)– নগর এলাকার অনেক কার্যাবলী কেন্দ্রীয় এলাকায় অবস্থানের কারণ শুধু প্রাকৃতিক সুবিধা নয়, এই এলাকা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের কিংবা কতগুলো অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র হতে পারে। এখানে কোন কার্যাবলি অন্য যেকোন স্থানের চেয়ে সুবিধাজনকভাবে সম্পন্ন করা যায়। ক্রিয়ামূলক সুবিধাকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন– 

      () মহানগরীর সুবিধা (Metropolitan convenience)– কেন্দ্রীয় এলাকার একটি সামাজিক বিন্দু,কেন্দ্রীয় এলাকা প্রধান পরিবহন কেন্দ্র, যেখানে খুচরো বাণিজ্য চালু থাকে এবং নগরীর অন্যান্য স্থান থেকে এখানে যাতায়াতের সুবিধা থাকে।

      () আঞ্চলিক সুবিধা (Regional  Convenience)– নগর কেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিত্ব করে।সড়ক ও রেল সুবিধার জন্য সমস্ত নগর এলাকাকে নিয়ন্ত্রণ বলয়মুখী বলা যায় । এছাড়া ভূগর্ভে কেন্দ্রীয় বলয়ে যাতায়াতের সুবিধা থাকে।

       () আন্তঃআণবিক আকর্ষণ (Inter Regional Convenience)— অনেক নগর রয়েছে যেগুলি পার্শ্ববর্তী দুটি বা তার বেশি অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে । এইসব নগর খুব উন্নত ধরনের।

. ক্রিয়ামূলক চুম্বকত্ব (Functional Magnetism)– নগরের কোন একটি কার্যাবলীর পুঞ্জীভবন অন্যান্য কার্যাবলী কে শক্তিশালী চুম্বকের মত ওই এলাকায় আকর্ষিত করে। আবার কিছু কার্যাবলী সম্মিলিতভাবে আরো কিছু কার্যাবলীকে আকর্ষণ করে।

. ক্রিয়ামূলক মর্যাদা (Functional Prestige)–

  নগরীর কেন্দ্রীয় এলাকার কোন কোন সড়কের অংশবিশেষে ফ্যাশন বিষয়ক কার্যাবলীর মত পূর্ণ কার্যাবলী পরিচালিত হতে পারে। আবার কোনো কোনো উচ্চ পেশাজীবী লোকজন  তাদের  কার্যাবলী চালাতে পারে। ফলে এই শক্তি এইসব কার্যাবলীর আরো বিস্তৃতি ঘটাতে পারে।

. মানবীয় ভারসাম্য করণ (Human Equation)– মানুষের পছন্দ ইচ্ছা নাগরিকত্ব চেতনা প্রভৃতি বিষয়ে নগর কেন্দ্রে কোন কার্যাবলি অনুপ্রাণিত করে। এছাড়া ধর্মীয় চেতনাকে ক্ষেত্রে কাজ করতে হতে পারে।

           উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে কেন্দ্রাতিগ ও কেন্দ্রাভিক শক্তি সাধারণত পরস্পরের সম্মিলিত ভাবে কাজ করে। তবে কোন সময় একটি শক্তিশালী হলে অন্যটি তখন অনিশ্চিত থাকতে পারে। আবার কোন কর্মকান্ড এইসব শক্তির প্রভাবে দুটি অংশে বিভক্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় এলাকায় এবং অপরটি প্রান্ত এলাকায় পরিচালিত হয়। ভারতে দিল্লি মহানগরে ও এই শক্তিদ্বয় প্রতিনিয়ত সক্রিয় রয়েছে।তাই নগর কেন্দ্র থেকে কখনো বিভিন্ন কার্যাবলী দূরবর্তী এলাকায় বিস্তৃত হচ্ছে আবার নগরকেন্দ্রিক পঞ্জিভূত হচ্ছে।

Leave a Comment