পুঁইমাচা গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর | Semester 1 Bengali MCQ

By

পুঁইমাচা গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

স্বাগত ছাত্র-ছাত্রীরা, আজকে তোমাদের সাথে শেয়ার করা হচ্ছে বাংলা প্রথম সেমিস্টার এর পুঁইমাচা গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর, যেগুলি তোমাদের প্রথম সেমিস্টার এর প্রস্তুতি গ্রহণে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ না হলেও, এখন থেকেই কিছু কিছু করে পড়াশোনা শুরু করাই যায়। পুঁইমাচা গল্পটির বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ বাংলায় ভিডিও আকারেও এখানে দেওয়া হয়েছে, তোমরা সেটি দেখার পর MCQ গুলি দেখলে বেশি উপকৃত হবে।

এই গল্পটি থেকে প্রথম সেমিস্টার এর পরীক্ষার মধ্যে মোট ৮ নম্বরের প্রশ্ন আসবে, এই প্রশ্ন গুলি সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক করতে পারো, তার জন্য আমরা আজকে এখানে কিছু MCQ প্রশ্ন পুঁইমাচা গল্প থেকে শেয়ার করলাম।

image
Screenshot 2024 08 09 100604
Screenshot 2024 08 09 100705
image 1
Screenshot 2024 08 09 191053
Screenshot 2024 08 09 191207

Patterns of Rural Settlement

     বিন্যাস বা আকার বলতে আমরা বুঝি অনুকূল ও সুবিধাজনক বসতির স্থানে বাসগৃহ ও তার আনুষঙ্গিক উপাদান সমূহের নির্দিষ্ট দিকে বিস্তারের প্রবণতা (“Arrangement of houses and other associated infractructures in relation to their favourable and convenient sites which permit their expansion in definite directions.” Singh, S.B. 1977)। এর ফলে বসতির একটা বাহ্যিক রূপ সৃষ্টি হয়, যা ভৌগোলিকদের চোখে ধরা পড়ে। স্থানীয় ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র থেকে আমরা বিভিন্ন প্রকার গ্রামীণ বসতির আকারের সঙ্গে পরিচিত হই। তবে প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, অধিকাংশ বসতির তাদের আপন খেয়ালে এবং কোনো প্রকার অনুকরণ ছাড়াই গড়ে ওঠে। তবে এই বসতি গড়ে ওঠার মধ্যেও আমরা প্রকৃতির হাতের ছোঁয়া পাই। যেমন উপত্যকায় গড়ে ওঠা গ্রামগুলো একটা তারের (string) মতো লম্বাটে রূপ নেয়। আবার, উত্তর ভারতের তরাই অঞ্চল বা জাপানের অঞ্চলের গ্রামগুলো সাধারণত কৃষিজমির দিকে মুখ করে গড়ে ওঠে। পাহাড়ি এলাকায় কৃষিজমির মূল্য অপরিসীম। তাই কৃষির জন্য সংরক্ষিত সোপান বা ধাপ জমিটুকু ছেড়ে দিয়ে ছোটো সমতল জায়গায় কাছাকাছি ভাবে বসতি গড়ে ওঠে।

          কোনো গ্রামের বাইরের আকৃতি ও অভ্যন্তরীণ গঠন প্রাকৃতিক (ভূপ্রকৃতি, নদী, অরণ্যের পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থান), সামাজিক (জাতি, গোষ্ঠী, ধর্মীয় একতা), ঐতিহাসিক (প্রথম অবস্থায় প্রতিরক্ষার প্রয়োজন) এবং অর্থনৈতিক (কৃষিপদ্ধতি, রাস্তা ও শিল্পের অবস্থান) ইত্যাদি কয়েকটি কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। পরিকল্পিত গ্রামে উপরিউক্ত প্রভাব থাকে না বললেই চলে।

         গ্রামীণ আকার সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়ে আমরা দুটি মতবাদের সম্মুখীন হই। একটি হল—(ক) ঐতিহ্যিক মতবাদ (traditional view) ও অপরটি হল পরিমাত্রিক (Quantiative) মতবাদ। প্রথমটিতে আমরা সচরাচর যেসব আকৃতি দেখতে পাই তার বিস্তৃত বিবরণ ও দ্বিতীয়টিতে বসতির জ্যামিতিক পরিমাণ সম্বন্ধে আলোচনা করা হল।

() ঐতিহ্যিক মতবাদ (Traditional views) : বসতির আকার সম্বন্ধে সর্বপ্রথম আলোকপাত করেন Meitzen। আকার অনুসারে জার্মানির গ্রামীণ বসতিকে তিনি | কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন। Meitzen-এর এই চিন্তাধারাকে আরও কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যান Demangeon এবং R. B. Hall। ভারতের গ্রামীণ বসতির আকার সম্বন্ধে প্রথম বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করেন R. L. Singh। মধ্য গাঙ্গেয়সমভূমির বসতির বিবর্তন (“Evolution of Settlements in the middle Ganga Valley”) প্রবন্ধে বসতির আকার সম্বন্ধে তিনি দু’টি সাধারণ উপাদানের উল্লেখ করেছেন। প্রধান বসতি এলাকা (Main inhabited site) ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পল্লি এলাকা (Hamleted sites)। প্রধান বসতি এলাকায় গৃহগুলোর নিবিড় বিন্যাস (Close structural arrangement) পূর্বলিখিত প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যিক কারণেই গড়ে ওঠে। উক্ত মতবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ বসতির বিভিন্ন আকার হল—

আরও পড়ুন:  চারণ কবি ভারভারা রাও MCQ প্রশ্ন উত্তর |একাদশ শ্রেণী বাংলা

(i) সমকোণাকার বসতি (Rectangular Settlement ): গ্রামীণ গোষ্ঠীবন্ধ বসতিগুলি সমকৌণিক আয়তক্ষেত্রের মতো গড়ে উঠলে, তাকে আয়তাকার বসতি বলা হয়।

Origin

(i) সমভূমি অঞ্চলের কোনো আয়তাকার কৃষিজমিকে ঘিরে বসতি স্থাপন,

(ii) সমকৌণিক বা সমান্তরাল রাস্তাঘাটের সংযোগকারী রাস্তার উভয়প্রান্তে বসতি স্থাপন,

(iii) অসংখ্য আয়তাকার বাসগৃহের পারস্পরিক ক্রম সজ্জায়ন প্রভৃতি, এই ধরনের বসতি গড়ে তোলে।

Characteristics

(i) এই ধরনের বসতিগুলি জমির ব্যবহারের সঙ্গে সামস্যপূর্ণভাবে গড়ে ওঠে।

(ii) এখানে একই জাতীয় বহু গৃহ পাশাপাশি গড়ে ওঠে।

(iii) আর্থসামাজিক সুযোগ-সুবিধা এবং আঞ্চলিক বিস্তৃতি এই বসতিগুলিতে সর্বাধিক।

Example

প্রাচীন ভারতে জমির ‘বিষা’ পদ্ধতিতে গড়ে ওঠা অধিকাংশ আয়তাকার বসতি গাঙ্গেয় উপত্যকায় লক্ষ করা যায়।

(ii) ফাঁকা সমকোণাকার বসতি (Hollow Rectangular Pattern Settlement): কোনো আয়তাকার বসতিকে ঘিরে উপযুক্ত বা ফাকা স্থান থাকলে তাকে ফাঁকা সমকোণাকার বসতি বলা হয়।

Origin

(i) কোনো প্রাচীন কেল্লা,

(ii) বৃহৎ ফাকা জমি,

(iii) কোনো উঁচু পুরোনো ঢিবির চারপাশে, কিংবা

(iv) আয়তাকার পুকুর, মন্দির, মসজিদ প্রভৃতিকে কেন্দ্র করে, এই ধরনের বসতি বিন্যাস গড়ে ওঠে।

Characteristics

(i) এই ধরনের বসতি নির্মাণে বিভিন্ন সংস্কারের বেড়াজাল থাকে।

(ii) এই ধরনের বসতির পারিপার্শ্বিকতায় হাটবাজার, খেলার মাঠ, পশুচারণ ক্ষেত্র

(iii) এখানকার বসতি মধ্যস্থ শূন্যস্থানগুলিকে একাধিক সাংস্কৃতিক কাজে ব্যবহার করা হয়।

Example

ভারতের রাজস্থানের বেশ কয়েকটি স্থানে ফাঁকা সমকোণাকার বসতি লক্ষ করা যায়। 

3. বর্গাকার বসতি ( Square pattern Settlement) : কোনো গোষ্ঠীবদ্ধ গ্রামীণ বসতি সমকোণী বর্গাকৃতির হলে, তাকে বর্গাকার বসতি বলা হয়।

Origin

(i) গ্রামের প্রান্তিক অঞ্চলে সমকোণী রাস্তার সংযোগস্থলে গড়ে ওঠা বসতি, 

(ii) কোনো আয়তাকার বসতির প্রস্থ বরাবর নতুন বসতি গড়ে উঠলে,

(ill) কোনো বর্গাকার জলাশয়, মন্দির, মসজিদ, কিংবা বাগানের চারপাশে বসতি স্থাপন বর্গাকার বসতি বিন্যাস সৃষ্টি করে।

Characteristics

(i) এই ধরনের আয়তাকার বসতির পরিবর্তিত রূপ।

(ii) এই বসতিটি মূলত কৃষি নির্ভর হয়।

(iii) এই ধরনের বসতিতে বিভিন্ন জাতি, বর্ণ, ভাষা গোষ্ঠীর মানুষ একত্রে বসবাস করে।

Example

ভারতের মধ্য ও নিম্ন গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে এই ধরনের বসতি বিন্যাস লক্ষ করা যায়।

4. ফাঁকা বর্গাকার বসতি (Hollow square pattern Settlement) :-

ফাঁকা বর্গাকার বসতিটির উদ্ভব, গঠন, বৈশিষ্ট্য বর্গাকার বসতিরই মতো, কিন্তু এর মধ্যবর্তী স্থানটি প্রায় উন্মুক্ত, যেখানে কোনো খেলার মাঠ, বাগান, মন্দির, মসজিদ, ভূস্বামীদের আবাদ প্রভৃতি গড়ে ওঠে।

Example

ভারতের বুন্দেলখন্ড ও মালয় মালভূমিতে এই ধরনের বসতি লক্ষ করা যায়।

5. বৃত্তাকার বসতি (Circular Settlement) :- 

কোনো বৃত্তাকার পরিসরে বসতি গড়ে উঠলে, তাকে বৃত্তাকার বসতি বলা হয়।

Origin

(i) কোনো শুষ্ক পরিবেশে বৃত্তাকার জলাশয়কেন্দ্রিক বসতি স্থাপন।

(ii) বৃত্তাকার কোনো হ্রদ, ঢিবি বা বাগিচার চারপাশে বসতি স্থাপন, কিংবা

(iii) কোনো অঞ্চলে নিরাপত্তার বেষ্টনী গড়ে তুললে, বৃত্তাকার বসতির উদ্ভব ঘটে।

আরও পড়ুন:  পুঁইমাচা গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর | পুঁইমাচা গল্পের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর

Characteristics

(i) বৃত্তকার বসতিগুলি আয়তনে ছোটো হয়ে থাকে।

(ii) এই ধরনের বসতিতে প্রাকৃতিক কিংবা আর্থসামাজিক অসংখ্য বাধা থাকে।

Example: আফ্রিকার মাসাই উপজাতিদের ‘ক্লান’-খুলি বৃত্তাকার বসতির অন্তর্গত। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন স্থানেও বৃত্তকার বসতি লক্ষ করা যায়।

6.অর্ধবৃত্তাকার বসতি (Semi-Circular Pattern Settlement):

প্রায় বৃত্তাকার কিংবা অর্ধবৃত্তাকার বসতি হল বৃত্তাকার বসতির একটি বিশেষ রূপ। সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে, অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের বাঁধের ওপর কিংবা অর্ধচন্দ্রাকার নদী বাঁকে এই ধরনের বসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। 

Example

 উত্তরপ্রদেশের হিন্দান নদীর অর্ধচন্দ্রাকার বাঁকে এরূপ গ্রামীণ বসতি গড়ে উঠেছে। 

7.প্রাচীরবেষ্টিত বসতি (Fortified Settlement):

যে সমস্ত বসতি প্রায় গোলাকার প্রকৃতির নির্দিষ্ট নিরাপত্তার পরিবেষ্টনে গড়ে ওঠে, তাকে প্রাচীরবেষ্টিত বসতি বলা হয়।

Origin

সাধারণত অতীতে শত্রুপক্ষের হাত থেকে রেহাই পেতেই প্রাকারবেষ্টিত বসতি গড়ে ওঠে।

Characteristics

(i) এই ধরনের বসতি অত্যন্ত প্রাচীন প্রকৃতির।

(ii) এখানে বসতি নির্মাণে নিরাপত্তার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।

(iii) এই সমস্ত বসতিতে প্রাকার হিসেবে বাঁশ, কাঠ, পাথর প্রভৃতিকে ব্যবহার করা হত।

Example

ভারতের মধ্যপ্রদেশের বস্তার জেলার গন্ড মুরিয়াদের বসতি এই প্রকৃতির।

8.নক্ষত্রাকার বসতি (Star pattern Settlement)

বিভিন্নদিক থেকে কেঞ্জিভূত যখন কোনো বসতি অঞ্চলে তারকার ন্যায় গড়ে ওঠে, তাকে নক্ষত্রাকার বসতি বলে।

Origin

(1) কোনো গোলাকৃতির বসতিতে অসংখ্য পায়ে হাঁটা পথ বিভিন্নদিকে প্রসারিত হলে,

 (ii) কোনো সমভূমিতে বিভিন্ন দিক থেকে মিলিত পাথর সংযোগ স্থানগুলিতে বাসস্থান গড়ে উঠলে, এই ধরনের বসতির উদ্ভব ঘটায়।

Characteristics

(1) এটি হল বৃত্তাকার বসতির বিবর্তিত একটি বিশেষ রূপ।

(ii) অনেকসময় নক্ষত্রাকার বসতির কেন্দ্রস্থলে পুরোনো বাসগৃহ লক্ষ করা যায়। 

(iii) নক্ষত্র বসতির কেন্দ্রস্থল থেকে দূরে ছড়িয়ে পড়া বসতিগুলি অপেক্ষাকৃত নবীন প্রকৃতির হয়।

Example

উত্তর ভারতের তরাই অঞ্চলের সীতারামারি এবং পূর্ব চম্পারন জেলায় অসংখ্য নক্ষত্র বসতি গড়ে উঠেছে।

9.দাবা ছকাকৃতির বসতি (Chessboard pattern Settlement)

কোনো সমকোণাকৃতির অঞ্চলে সমকোণি একাধিক রাস্তার সংযোগস্থল বরাবর দাবার ছকের ন্যায় গোষ্ঠীবদ বসতি গড়ে উঠলে তাকে, দাবা ছকাকৃতির বসতি বলা হয়।

Origin

সুবিস্তীর্ণ সমতল ভূমির ওপর যখন পরিকল্পনা মাফিক উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, এবং পরস্পর সমকোণে ছেদকারী অসংখ্য রাস্তার সংযোগস্থলগুলিতে বর্গাকার একাধিক বসতি গড়ে উঠলে, তখন তা দাবার ছকের রূপ নেয়।

Characteristics

(i) R. E. Dickinson এই ধরনের বসতি প্রসঙ্গে বলেন এটি— “a right angled mesh of streets with or without a central rectangular place.”-কে নির্দেশ করে।

(ii) এখানকার বসতিগুলি বর্গাকার জালের মতো দেখতে।

(iii) এখানকার প্রতিটি বসতি মধ্যস্থ রাস্তাঘাট যথেষ্ট উন্নত।

(iv) এখানে প্রধান রাস্তা এবং অসংখ্য গলি পরস্পরকে সমকোণে ছেদ করে।

Example

নেপালের গভকি জেলার Sarea গ্রামটিতে এই ধরনের বসতি বিন্যাস দেখা যায়।

10. পাখাকৃতির বসতি (Fan pattern Settlement)

যে সমস্ত গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি শঙ্কু বা পাখাকৃতির ন্যায় গড়ে ওঠে, তাকে পাখাকৃতির বসতি বলা হয়।

Origin

(i) বসতি অঞ্চলটি যখন কোনো স্বাভাবিক বাঁধ, নদী বাঁক কিংবা সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে গড়ে ওঠে। 

(ii) কোনো গ্রামের কেন্দ্রস্থলে দুদিক থেকে শঙ্কুর আকারে মিলিত রাস্তার সংযোগস্থলগুলিতে বসতি গড়ে উঠলে,তাকে পাখাকৃতির মনে হয়।

আরও পড়ুন:  WBCHSE Semester Exam Pattern: প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টার এর প্রশ্নের ধরণ কেমন হবে? জানিয়ে দিল শিক্ষা সংসদ

Characteristics 

(i) এই ধরনের বসতি প্রায় এককেন্দ্রিক প্রকৃতির।

(ii) এখানে কেন্দ্রীয় অঞ্চল থেকে বসতির পরিসীমা ক্রমশ বাড়তে থাকে।

Example

ছোটোনাগপুরের বাদামগ্রাম-এর বসতি এই প্রকৃতির।

11. ‘টি‘ (T) ওয়াই‘ (V) আকৃতির বসভি (‘T’ and ‘Y’ pattern Settlement)

কোনো অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থার বৈচিত্র্যপূর্ণ বিন্যাসে এই ধরনের বসতিগুলি গড়ে ওঠে। যেমন–

● যখন কোনো একটি সরল রাস্তা বিপরীত দিক থেকে এসে, অপর কোনো একটি সরল রাস্তার সঙ্গে সমকোণে মিলিত হয়, তখন সেই রাস্তাকে কেন্দ্র করে যে বসতি বিন্যাস গড়ে ওঠে, তাকে ‘T’ আকৃতির বসতি বলা হয়।

● আবার তিন দিক থেকে আসা তিনটি রাস্তা পরস্পর স্থূলকোণে মিলিত হলে, সেখানে যে বসতি গড়ে ওঠে, তাকে ‘Y’ আকৃতির বসতি বলা হয়। T

      এ ছাড়াও অনেকসময় কোনো রাস্তার কোথাও হঠাৎ করে বাঁক নিলে, সেই বাঁকটিতে যে বসতি গড়ে ওঠে, তা অনেকটা ” আকৃতির মতো দেখায়।

12.ত্রিকোণাকার বসতি (Triangular Pattern Settlement):

দুই কিংবা ততোধিক সংখ্যক নদীর সংগমস্থলে অনেক গ্রামীণ বসতি গড়ে ওঠে, এই বসতির পার্শ্বীয় বিস্তার নদী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং বসতিটি ত্রিভুজাকৃতি হয়।

13.নীহারিকা সদৃশ বসতি (Nebular Pattern Settlement): যে গ্রামীণ বসতির আকার নীহারিকার মতো, তাকে নীহারিকা সদৃশ বসতি বলে। এই ধরনের বসতিতে রাস্তাগুলি প্রায় গোলাকার হয়। যার মধ্যে গ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে এবং এই রাস্তার দু’পাশে বাড়িগুলিগড়ে ওঠে।

Example গঙ্গা, যমুনার দোয়াব অঞ্চলে এই ধরনের অনেক গ্রাম দেখা যায়।

2. পরিমাত্রিক মতবাদ (Quantitative View) পরিমাত্রিক মতবাদের প্রবক্তাদের মতে গ্রামের আদর্শ বহিঃস্থ আকার (outer shape) হবে বৃত্তাকার। এর থেকে ব্যতিক্রম হলে জ্যামিতিক নিয়মে পরিমাপ করা যাবে। এই মতবাদের প্রবক্তাদের মতে গ্রামটি সমতল জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে কোনোরকম প্রাকৃতিক কিংবা সাংস্কৃতিক বাধা নেই। সেক্ষেত্রে কোনো কেন্দ্রস্থ বস্তু (Nucleus), যেমন— পুষ্করিণী, মন্দির, মসজিদের চারদিকে গ্রামটি বৃত্তাকারে বিকাশ লাভ করবে।

ওয়াল্টার ক্রিস্টলার (Walter Christaller) এবং অগাস্ট লোস (August Losch)-এর মতো তাত্ত্বিক ভৌগোলিকগণ কোনো স্থানের আকার ও দুটি স্থানের মধ্যবর্তী ব্যবধান নির্ণয় করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্থানতত্ত্ব Central Place Theory-র সাহায্য নিয়েছেন।

         Thompson সর্বপ্রথম বসতির আকার বিশ্লেষণ মতবাদ প্রবর্তন করেন। পরবর্তীকালে নদী অববাহিকার আকার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে Miller আরও সহজভাবেবিষয়টিকে উপস্থাপন করেন। তাঁর সূত্রটি হল—

         নদী অববাহিকার আকার (S) হল, নদী অববাহিকার আয়তন (Ab) এবং একই পরিসীমাযুক্ত বৃত্তের আয়তন (Ab)-এর অনুপাত। ব্রাজিলের বহু গ্রামের আকার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে Haggett একই সূত্র ব্যবহার করেছেন। সূত্রটি হল—

        পরবর্তীকালে Simmon or Boyee এবং Clark শহরের আকার সম্পর্কে নানান প্রকার গবেষণা করলেও দেখা গেছে যে, ভারতীয় গ্রামের ক্ষেত্রে Miller-এর বিশ্লেষণ উপযুক্ত। Miller-এর আকারের সূচকের সর্বোচ্চ মান হল 1.00 এবং সর্বনিম্ন মান হল ০ (শূন্য)। এরমাঝে অন্যান্য মান রয়েছে, যেমন 0.42 সূচক হল ত্রিকোণাকার, 0.64 চতুষ্ক এবং 0.83 ষড়ভুজাকার গ্রাম।

Leave a Comment