স্বাগতম ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ, তোমাদের প্রথম সেমিস্টার ইংরেজি বিষয় এর Prose হিসাবে রয়েছে “An Astrologer’s Day” রয়েছে, যেখান থেকে প্রথম সেমিস্টার এর পরীক্ষায় ৫ মার্কস রয়েছে। এখনো পর্যন্ত রেজাল্ট না প্রকাশ পেলেও আমারা আগের থেকেই MCQ দেওয়া শুরু করলাম। আজকের যেসমস্থ প্রশ্ন উত্তর এখানে দেওয়া হল সেগুলি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অনেক সহায়তা করবে।
An Astrologer’s Day MCQ Question Answer
প্রিয় ছাত্রছাত্রীবৃন্দ এখানে তোমাদের MCQ প্রশ্ন উত্তরগুলি PDF আকারে শেয়ার করা হয়েছে, এর মূল কারণ হল, তোমরা নিশ্চিন্তে এই PDF টি সংগ্রহ করে পড়তে পারবে। তার আগে বলে দেই, প্রশ্ন উত্তর গুলি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে, তোমাদের সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণে বিশেষ ভাবে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন
‘The Swami and Mother-Worship’ MCQ
Evaluate the role of India in achieving sustainable development goals and mention various programs taken by the Indian government in this context.
স্থিতিশীল উন্নয়ন সূচকের গণনা অনুযায়ী 186টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান 117। ভারতের সূচক মান হল 61.9। ভারত একমাত্র জলবায়ু সম্পর্কিত কার্যাবলীর (13 নম্বর লক্ষ্যমাত্রা) ক্ষেত্রেই কাম্য স্তর ছুতে পেরেছে। অন্যান্য লক্ষ্যগুলি ভারতের এখনো অধরা। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য 2, 3, 5, 6, 7, 9, 10, 11, 16 এবং 17-লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেত্রে ভারতকে সর্বাধিক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়াও লক্ষ্যমাত্রা 1, 14 এবং 15-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বাধা উপস্থিত। লক্ষ্যমাত্রা 4, ৪ এবং 12-এর ক্ষেত্রে ভারতকে সামান্য বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে ভারত 2030 সালের মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলি অর্জন করার উদ্দেশ্যে পদ্ধপরিকর। সেজন্য বর্তমানে ভারতের নীতি আয়োগ সুপরিকল্পিতভাবে স্থিতিশীল উন্নয়নসূচক পরিমাণ সম্পন্ন করছে। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সমীক্ষা অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রাগুলি অর্জনের ক্ষেত্রে ভারতের এযাবৎ সাফল্য নিম্নে দেখানো হলো ।
লক্ষ্যমাত্রা 1, 6, 8 এবং 13-এর ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি সন্তোষজনক। লক্ষমাত্রা 2, 3, 7 এবং 9-এর ক্ষেত্রে ভারত মধ্য গতিতে উন্নতি করছে। স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা 4, 5, 11, 14, 16 এবং 17-এর ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে ভারত একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। চিন্তার বিষয় হল লক্ষ্যমাত্রা 15, অর্থাৎ জীবনযাত্রার মান ভারতে ক্রমশ নিম্নতর হচ্ছে।
ভারতের নীতি আয়োগ সক্রিয়ভাবে স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলি জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমের দ্বারা অর্জন করতে বদ্ধপরিকর, যা ভারতের বর্তমানে “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ” ধ্বনির দ্বারা প্রতিফলিত হয়। এই লক্ষ্যে বর্তমান ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির সংক্ষিপ্ত বৈশিষ্ট্য নিম্নে আলোচিত হল।
1. শক্ত ভারত–সবল ভারত: ক্ষমতায়িত এবং স্থিতিস্থাপক ভারত: অর্থনৈতিক বিকাশ এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে ভারত প্রায় 271 মিলিয়নের বেশি মানুষকে বহুমাত্রিক দারিদ্র অবস্থা থেকে সফলভাবে মুক্ত করতে পেরেছে। পর্যাপ্ত পুষ্টি, শিশু স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিচ্ছন্নতা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ ও আবাসনের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্য হ্রাস বিশেষত্ব দারিদ্র্য এবং বিপদসংকুল সামাজিক পরিস্থিতিতে বসবাসকারী মানুষদের অবস্থান উন্নতি ঘটিয়েছে।
2. স্বচ্ছ ভারত–সুস্থ ভারত: পরিচ্ছন্ন এং স্বাস্থ্যকর ভারত: সমগ্র দেশ জুড়ে পরিচ্ছন্ন ভারত অভিযান এবং জাতীয়
পুষ্টি মিশনের মাধ্যমে ভারত গ্রামাঞ্চলে 100% পরিচ্ছন্নতা অর্জনে সমর্থ হয়েছে তথা শিশু ও মায়েদের মৃত্যুহার দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত কার্যক্রমের দ্বারা সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে, যা পৃথিবীর বৃহত্তম স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যক্রম। এর দ্বারা 500 মিলিয়ন মানুষ লাভবান হচ্ছেন, যার জন্য বছরে প্রায় 7000 মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী COVID 19 মহামারী মোকাবিলায় ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ভারত অন্যান্য দেশগুলিতে যেমন চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং টিকা সরবরাহ করে মানবতার কর্তব্য পালন করেছে, তেমনি প্রাথমিকভাবে 10 মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের মাধ্যমে SAARC COVID 19 আপৎকালীন তহবিল গঠন করেছে। দেশে এই মহামারী মোকাবিলায় 22.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূলোর আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মাধ্যমে ডাক্তার ও স্বার্থকর্মীর মত মহামারীর সাথে মোকাবিলা করায় অগ্রণী ভূমিকায় থাকা বহু মানুষ উপকৃত হন এবং আর্থিকভাবে দুর্বল তথা সামাজিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সরাসরি নগদ স্থানান্তর, খাদ্য সুরক্ষা প্রভৃতি বাস্তবায়িত করা গেছে।
3. সমগ্র ভারত–সক্ষম ভারত: অন্তর্ভুক্ত ও উদ্যোক্তা ভারত: সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য, সুস্বাস্থ্য, সার্বজনীন শিক্ষা, উপযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা এবং কর্মউদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে। 90 শতাংশের বেশি মানুষের আধার কার্ড (National Unique Identity Number), জন ধন যোজনা (National Financial Inclusion Scheme) এবং ক্রমবর্ধমান সস্তা মোবাইল পরিষেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের জন্য ঋণ, বীমা এবং ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মতো প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন হয়েছে। এর দ্বারা প্রায় 200 মিলিয়ন মহিলা উপকৃত হয়েছেন। এই সকল প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আশাবাদী ফল প্রদান করেছে।
4. সর্বদা ভারত–সনাতন ভারত: স্থিতিশীল ভারত: ভারতের জলবায়ু সংরক্ষণ সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলি দূষণহীন ও দক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা, বিপর্যয় মোকাবিলাকারী পরিকাঠামো এবং পরিকল্পিত বাস্তুতান্ত্রিক পুনর্গঠনে উৎসাহ প্রদান করে। জাতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতের গ্রামগুলির 100% বিদ্যুয়াতন হয়েছে, উপযুক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার করে বছরে প্রায় 38 মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্ক্রমণ কমানো সম্ভব হয়েছে, ৪০ মিলিয়ন দরিদ্র পরিবারকে দূষণমুক্ত জ্বালনি প্রদান সম্ভব হয়েছে। এগুলো ছাড়াও 2030 সালের মধ্যে ভারতে 26 মিলিয়ন পতিত জমি উদ্ধার এবং 450 GW ক্ষমতাসম্পন্ন পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনকারী কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারতের স্থান পৃথিবীতে চতুর্থ, বায়ু শক্তি উৎপাদনে চতুর্থ এবং সৌরশক্তিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারত পৃথিবীতে পঞ্চম স্থান অধিকার করে। জলবায়ু সংরক্ষণ কার্যাবলী এবং দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে দুর্যোগ প্রতিরোধক পরিকাঠামো উন্নয়ন গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোটের অংশীদার হয়েছে।
5. সম্পূর্ণ ভারত: সমৃদ্ধ ভারত এবং প্রাণবন্ত ভারত: বর্তমানে ভারত পৃথিবীর অন্যতম দ্রুত বিকাশমান বাজার অর্থনীতি। বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম এবং দ্রুত বর্ধমান উদ্ভাবনী শক্তি ও ব্যবসায়িক পরিবেশ ভারতকে বিশেষ সুবিধা প্রদান। করে। 2018-19 সালে ভারতের জি ডি পির পরিমাণ ছিল 2.72 মার্কিন ডলার, যা 2025 সালে 5 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে। ভারত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে উৎসাহ প্রদান, উদ্যোক্তাবৃদ্ধি ও শিল্পোৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এক অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে।
6. আত্মনির্ভর ভারত: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 12 মে 2020-এ COVID 19 মহামারী চলাকালীন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে “আত্মনির্ভর ভারত” প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীতে স্বনির্ভর ভারত গড়ে তোলার কথা বলা হয়। মহামারির সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার সময়ে দেশের উৎপাদন বাড়িয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার কথা বলা হয়। এই প্রকল্পটি পাঁচটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে, এগুলি হলঃ
1. অর্থনীতি-যা ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনই আনবে না, প্রয়োজনীয় উচ্চতায়ও পৌঁছাবে।
2.পরিকাঠামো-যা হবে ভারতের পরিচয়।
3. ব্যবস্থা-একবিশংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনা।
4. প্রাণবন্ত জনসাধারণ-যা হবে আত্মনির্ভর ভারতের শক্তির উৎস।
5. চাহিদা-আমাদের যে চাহিদা রয়েছে তা সরবরাহ শৃঙ্খলের পূর্ণ ক্ষমতার মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
এজন্য একটি বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করা হয়। মোট আর্থিক পরিমাণ 20 লক্ষ কোটি টাকা যা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের প্রায় 10%। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই অর্থ ব্যয় করা হয়। এই প্যাকেজে ভূমি, শ্রমিক, ঋণ ও আইনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কুটির শিল্প, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, শ্রমিক, মধ্যবিত্ত, শিল্প সংস্থা সহ সকলের চাহিদাই এখান থেকে পূর্ণ করা হয়।
এর মাধ্যম কোভিডের মতো সঙ্কট থেকে ভবিষ্যতে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে। এই সংস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে, কৃষি, যুক্তিসঙ্গত কর ব্যবস্থা, সহজ ও স্পষ্ট আইন, যোগ্য মানব সম্পদ এবং দৃঢ় আর্থিক ব্যবস্থা। এই সংস্কারগুলি ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে, বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করবে এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে আরো শক্তিশালী করে তুলবে। এই প্রকল্পে যা “Vocal for local” বা “স্থানীয় উৎপাদনের গুরুত্ব বৃদ্ধি” নামে জনপ্রিয় হয়।
I could not download the pdf
I could not download the pdf Sir please help