বিষয় | স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র | শুষ্কতার ক্ষয়চক্র/মরু ক্ষয়চক্র |
সংজ্ঞা | স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের মধ্যে
জলপ্রবাহের দ্বারা ভূপৃষ্টের ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় সর্বাধিক সংগঠিত হয়। তাই ডেভিস নদীর ক্ষয়চক্রকে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র বলে অভিহত করেছেন। | মরু অঞ্চলের বায়ু, নদী,
আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় প্রভৃতির মিলিত কার্যের ফলে যৌবন থেকে বার্ধক্য অবস্থা পর্যন্ত
যে ক্ষয়চক্র ঘটে, তাকে L. C King শুষ্কতার ক্ষয়চক্র
বলে অভিহত করেছেন। |
জলবায়ু অঞ্চল | স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র প্রাধান্য
লাভ করে আদ্র জলবায়ু অঞ্চলে। | মরু ক্ষয়চক্র প্রাধান্য
পায় শুষ্ক জলবায়ু অঞ্চলে। |
নিয়ন্ত্রক | স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের নিয়ন্ত্রক
হিসাবে নদী বা প্রবাহমান জলধারা মুখ্য ভূমিকা পালন করে। | মরু ক্ষয়চক্রের নিয়ন্ত্রক
হল বায়ুপ্রবাহ, আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় প্রভৃতি। |
বন্ধুরতা | পরিণত পর্যায়ে ভূমির বন্ধুরতা
সর্বাধিক হয়। | শুষ্কতার ক্ষয়চক্রে যৌবন
পর্যায়ে ভূমির বন্ধুরতা সর্বাধিক হয়। |
ক্ষয়েচক্রের শেষ
সীমা | সমুদ্রপৃষ্টকে স্বাভাবিক
ক্ষয়চক্রের শেষ সীমা ধরা হয়। | বিভিন্ন মরুভূমির ক্ষয়চক্রের
তারতম্যের জন্য শেষ সীমা নির্ণয় করা কঠিন। |
ভূমিরুপ গঠনকারী
প্রক্রিয়া | এই ক্ষয় কার্য নদী দ্বারা সংগঠিত হয়। | এই ক্ষয়চক্র বায়ু, জলধারা,
আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় দ্বারা সংগঠিত হয়। |
ভূমিরুপ | স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রে গিরিখাত,
ক্যানিয়ন, জলপ্রপাত, শৃঙ্খলিত শৈলশিরা, মন্থকূপ, প্লবণভূমি, সমপ্রায়ভূমি, মোনাডনক
প্রভৃতি ভূমিরুপ গড়ে ওঠে। | মরু ক্ষয়চক্রে পলল শঙ্কু,
গিরিপথ, পেডিমেন্ট, পেডিপ্লেন প্রভৃতি ভূমিরুপ গঠিত হয়। |