রূপমূলকে সাধারনত দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা –
ক) স্বাধীন রূপমুল।
খ) পরাধীন রূপমুল।
প্রশ্নানুযায়ী নিচে এই দুটি রূপমুলের উদাহরণ সহ আলোচনা করা হলো।
ক) স্বাধীন রূপমুল: ভাষার মধ্যে যে অর্থপূর্ণ, ক্ষুদ্রতম ধ্বনিসমষ্টি অন্য ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি এর সাথে সম্পূর্ণ যুক্ত না হয়েও, সর্বদা স্বাধীন ভাবে ব্যাবহার হতে পারে,তাদের মুক্ত বা স্বাধীন রূপিম বা রূপমুল বলে।
যেমন – রাম ভাত খায়। এক্ষেত্রে ‘রাম’ স্বাধীন রূপমুল।
খ) পরাধীন রূপমুল: ভাষার মধ্যে যে অর্থপূর্ণ, ক্ষুদ্রতম ধ্বনিসমষ্টি অন্য ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি এর সাথে সম্পূর্ণ যুক্ত হয়ে ব্যাবহার হয়,কিন্তু কখনো বাক্য বা ভাষার মধ্যে স্বাধীন ভাবে বাবহৃত হতে পারে না, তাদের বদ্ধ রূপিম বা পরাধীন রূপমুল বলে। এক্ষেত্রে বিভক্তি,নির্দেশক,প্রত্যয়,উপসর্গ ইত্যাদি হলো পরাধীন রূপমুল।
যেমন – ফুলওয়ালা ফুল বিক্রি করে। এখানে ‘ওয়ালা’ পরাধীন রূপমুল।
স্বাধীন ও পরাধীন রূপমুল নিয়ে নানাভাবে পদ গঠন করা যায়। যেমন –
স্বাধীন রূপমুল + স্বাধীন রূপমুল = জন + শূন্য = জনশূন্য। এখানে ‘জনশূন্য’ পদটি দুটি স্বাধীন রূপমুল দ্বারা গঠিত হলো।
স্বাধীন রূপমুল + পরাধীন রূপমুল = বাড়ি + টা = বাড়িটা। এখানে ‘বাড়িটা’ পদটি একটি স্বাধীন ও একটি পরাধীন রূপমুল দ্বারা গঠিত হলো।
পরাধীন রূপমুল + স্বাধীন রূপমুল = অ + ভিন্ন = অভিন্ন। এখানে ‘অভিন্ন’ পদটি একটি পরাধীন ও একটি স্বাধীন রূপমুল দ্বারা গঠিত হলো।