উত্তর: বাংলা ভাষায় শব্দ বা পদ গঠনের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া গুলির ফলে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন পদ বা শব্দ গঠিত হয়। প্রক্রিয়া গুলির পদ্ধতি অনুযায়ী পদগুলোর নামকরণ হয়ে থাকে।
একাধিক পদ মিলে একটি বৃহৎ বা বড়ো পদের জন্ম দিলে তাকে সমাস বলে। যেমন – দশটি আনন যার = দশানন।
ভাষাবিজ্ঞান এর রূপতত্ত্ব শাখাটির মধ্যে বাংলা ব্যাকারণের একটি গুরুপতপূর্ণ বিষয় ‘সমাস’ অন্তর্ভুক্ত। সাধারনত বাংলা ব্যাকারণের এর মধ্যে সমাস সাত বা আট প্রকারের হয়ে থাকে, কিন্তু রূপতত্ত্ব বা পদগঠনের প্রক্রিয়া বা শব্দগঠনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী সমাস তিন প্রকার। যথা –
ক) দ্বন্দ সমাস ।
খ) ব্যাখ্যানমূলক সমাস।
গ) বর্ণনামূলক সমাস।
প্রশ্নানুযায়ী এই তিনটি সমাস সম্পর্কে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
ক) দ্বন্দ সমাস : যে সমসে দুই বা ততোধিক পদ পরস্পর পশাপশি বসে অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে যে পদ গঠন করে তাকেই দ্বন্দ সমস বলে। যেমন – দিন ও রাত = দিনরাত, ছেলে ও মেয়ে = ছেলেমেয়ে ইত্যাদি।
খ) ব্যাখ্যানমূলক সমাস: দুটি পদ যখন পাশাপাশি অবস্থান করে বা বসে তখন প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদটির ব্যাখ্যা করে থাকে, আর একেই ব্যাখ্যানমূলক সমস বলে। ব্যাখ্যানমূলক সমস এর উদাহরণ হল – মহারাজ, নিমরাজি,শ্বেতপদ্ম,বিদ্যালয় ইত্যাদি। বাংলা ব্যাকরণ এর তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু সমাস ব্যাখ্যানমূলক সমসের অন্তর্ভুক্ত।
গ) বর্ণনামূলক সমাস: দুটি পদ পরস্পর যুক্ত হয়ে যখন কোন বাইরের পদ,বস্তু বা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে, তখন তাকে বর্ণনামূলক সমাস বলে। বর্ণনামূলক সমাস এর উদাহরণ হল – বীণাপাণি,পীতাম্বর,দশানন ইত্যাদি।