ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

By

ম্যানগ্রোভ অরণ্য : সমুদ্র তীরবর্তী লবণাক্ত উপকূল অঞ্চলে যে সমস্থ উদ্ভিদের
অরণ্য লক্ষ্য করা যায়, তাকে ম্যানগ্রোভ অরণ্য বলে
এই অরণ্যের উদ্ভিদ নিজেদের অস্তিত্ব
টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলীর পরিচলনার জন্য অভিযোজন ঘটায়
ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ
গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হোগলা, গোলপাতা প্রভৃতি

ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অভিযোজনগত
বৈশিষ্ট্য :
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদগুলির  অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে নিন্মে আলোচনা করা হল –

(i)
শ্বাসমূল :
ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ লবণাক্ত জলাভূমিতে জন্মানোয় মৃত্তিকায় অক্সিজেনের
অভাব লক্ষ্য করা যায়, ফলে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সংগ্রহ করার জন্য অভিকর্ষজ
শক্তির বিপরীতে মৃত্তিকা ভেদ করে কিছু মূল ভূপৃষ্টের বাইরে বেরিয়ে আসে, এই ধরনের
মূলকে শ্বাসমূল বলে

এই মূলের
মাথা ছোট ছিদ্র যুক্ত হয়ে থাকে

আরও পড়ুন:  পরিব্রাজনের প্রভাবগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।

(ii) ঠেসমূল : সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে জন্মানোয়
সমুদ্রতরঙ্গের আঘাতে গাছগুলি সোজাভাবে দাড়িয়ে থাকতে পারে না
এই কারণে গাছের শাখা থেকে কিছু ঝুলের
মতো মূল বেরিয়ে মাটির সাথে যুক্ত হয় এবং গাছকে সোজা ভাবে দাড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে
এই ধরনের মূলকে ঠেসমূল বলে

(iii) জরায়ুজ অঙ্কুরোদম : ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের বংশ বিস্তার বজায়
রাখার জন্য জরায়ুজ অঙ্কুরোদম লক্ষ্য করা যায়
লবনাক্ত মৃত্তিকাতে বা ভূমিতে বীজ
পড়লে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং বীজটি নিজ ক্রিয়া সম্পাদন করতে পারে না
তাই গাছে থাকা অবস্থায় বীজ গুলি থেকে
অঙ্কুরোদম ঘটে থাকে,
আর একেই জরায়ুজ অঙ্কুরোদম বলা হয়

আরও পড়ুন:  বাজাদা ও পেডিমেন্টের মধ্যে পার্থক্য লিখো।

Leave a Comment