প্রশ্ন : পাঠ্যাংশে মিথ্যাচার কাকে বলা হয়েছে লেখো। তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কে ?
উত্তর : শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার কর্মযোগ নামক তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর কর্মযোগ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘মিথ্যাচার’-এর লক্ষণ দিয়েছেন। মিথ্যাচার শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল- যাঁর আচরণ মিথ্যা তিনি হলেন মিথ্যাচারী। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন—যিনি কর্মেন্দ্রিয়কে সংযত করে মনে মনে ইন্দ্রিয়ের উপভোগ্য বিষয়গুলি স্মরণ করেন তিনি মিথ্যাচারী।
মানুষ কর্মের অধীন। কর্ম ছাড়া মানুষ থাকে না। কর্মই আবার বন্ধন। তাই অনেকে কর্মবন্ধন থেকে মুক্তির জন্য কর্মেন্দ্রিয় সমূহকে সংযত করে অবস্থান করে। কিন্তু তারা আবার মনে মনে ইন্দ্রিয় বিষয়সমূহকে স্মরণ করে বা তা দিয়ে তারা রূপরস গন্ধ স্পর্শানুভূতির কথা ভাবে এটা এক অর্থে মিথ্যাচার করা। কারণ বাইরে কর্মহীন থাকলেও অন্তরে কর্মফলা-কাঙ্খার আসক্তি তীব্র থাকে, এতে কর্মবন্ধন মুক্ত তো হয়ই না বরং মিথ্যাচার করে পাপকেই আহ্বান জানায়। এরা এক অর্থে মিথ্যাচারী বা পাপাচারী।