প্রশ্ন: ভৌম জলস্তর এর শ্রেণীবিভাগ করে চিত্র সহ আলোচনা করো।
আথবা, ভৌমজলের স্তররায়ণ চিত্র সহ বর্ণনা
করো।
উত্তর :
ভূমিকা: বৃষ্টিপাতের জল বা তুষার গলা জল ভূপৃষ্টয়ের নিচের প্রবেশ্য
শিলা স্তর দ্বারা ভূঅভ্যন্তরে প্রবেশ করে যে অপ্রবেশ্য শিলাস্তর এর মধ্যে বাধা প্রাপ্ত
হয়ে যে সম্পৃক্ত জলভান্ডার এর সৃষ্টি করে বা ভুত্বকের মধ্যে মাটি রেগোলিথ ও শিলারন্ধ্রে
অবস্থিত জল যে জলভান্ডার সৃষ্টি করে, তাকে ভৌমজল বলে। ভূ-অভ্যন্তরের
জল ও বায়ুর অবস্থান ও সঞ্চালনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেই ভৌম জল এর সঞ্চয়কে সাধারনত
দুইটি স্তরে ভাগ করা যায়। যথা –
শিলা স্তর দ্বারা ভূঅভ্যন্তরে প্রবেশ করে যে অপ্রবেশ্য শিলাস্তর এর মধ্যে বাধা প্রাপ্ত
হয়ে যে সম্পৃক্ত জলভান্ডার এর সৃষ্টি করে বা ভুত্বকের মধ্যে মাটি রেগোলিথ ও শিলারন্ধ্রে
অবস্থিত জল যে জলভান্ডার সৃষ্টি করে, তাকে ভৌমজল বলে। ভূ-অভ্যন্তরের
জল ও বায়ুর অবস্থান ও সঞ্চালনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেই ভৌম জল এর সঞ্চয়কে সাধারনত
দুইটি স্তরে ভাগ করা যায়। যথা –
(ক) অসম্পৃক্ত স্তর:- অসম্পৃক্ত
স্তর বলতে বোঝায়, যে স্তর এর মধ্যে জল সঞ্চয় হতে পারে না বা যে স্তর এর জল ধারণ ক্ষমতা
নেই।জলধারণ ক্ষমতার ওপর ভিত্তি
করে এই স্তরকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
–
স্তর বলতে বোঝায়, যে স্তর এর মধ্যে জল সঞ্চয় হতে পারে না বা যে স্তর এর জল ধারণ ক্ষমতা
নেই।জলধারণ ক্ষমতার ওপর ভিত্তি
করে এই স্তরকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
–
(a) মৃত্তিকা জলস্তর:- ভূপৃষ্টয়ের সবচেয়ে কাছের ও অসম্পৃক্ত
স্তর এর সবচেয়ে উপরের স্তরকে মৃত্তিকা জলস্তর বলে। অর্থাৎ,
উদ্ভিদের শিকড় মাটির যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং উদ্ভিদ টার প্রয়োজন মত জল সংগ্রহ
করতে পারে।সেই স্তরকে মৃত্তিকা জলস্তর
বলে।
স্তর এর সবচেয়ে উপরের স্তরকে মৃত্তিকা জলস্তর বলে। অর্থাৎ,
উদ্ভিদের শিকড় মাটির যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং উদ্ভিদ টার প্রয়োজন মত জল সংগ্রহ
করতে পারে।সেই স্তরকে মৃত্তিকা জলস্তর
বলে।
(b) মধ্যবর্তী স্তর:- মৃত্তিকা ও কৈশিক স্তর এর মাঝে যে
স্তরের মধ্যে বাযু ও জল আবদ্ধ থাকে তাকে মধ্যবর্তী স্তর বলে।
স্তরের মধ্যে বাযু ও জল আবদ্ধ থাকে তাকে মধ্যবর্তী স্তর বলে।
চিত্র : ‘ভৌম জলস্তর’ |
(c) কৈশিক স্তর:- এই স্তর হল অসম্পৃক্ত স্তর এর সবচেয়ে নিচের
স্তর। এই স্তর এর মধ্যে বহু সরু সরু ছিদ্র পথ থাকে। আর এই সরু ছিদ্র পথ বা নলের মধ্যে বাষ্পিভবনের পরিমাণ
বৃদ্ধি পেলে মাটির পৃষ্টটান বাড়লে ভৌমজল ওই নলের মাধ্যমে উপরের দিকে বেড়িয়ে আসে বা
কৈশিক উথান ঘটে, আর একেই কৈশিক স্তর বলে।
(খ)সম্পৃক্ত স্তর:- অসম্পৃক্ত
স্তরের নিচে ভূ-অভ্যন্তরের য অংশ সারাবছর ধরে জল দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে তাকে সম্পৃক্ত
স্তর বা ফ্রিয়েটিক স্তর বলে। সম্পৃক্ত স্তর বা ফ্রিয়েটিক স্তর হল ভৌমজল এর প্রকৃত আধার।
জলতলের স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে এই স্তরকে দুটি ভাগে
ভাগ করা যায়। যথা –
স্তরের নিচে ভূ-অভ্যন্তরের য অংশ সারাবছর ধরে জল দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে তাকে সম্পৃক্ত
স্তর বা ফ্রিয়েটিক স্তর বলে। সম্পৃক্ত স্তর বা ফ্রিয়েটিক স্তর হল ভৌমজল এর প্রকৃত আধার।
জলতলের স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে এই স্তরকে দুটি ভাগে
ভাগ করা যায়। যথা –
(a) অস্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর:- কৈশিক স্তর
এর নিচে যে অংশে ভৌমজল শুধুমাত্র আদ্র ঋতুতে পাওয়া যায় আথবা ভূঅভ্যন্তরে যে অংশে ভৌমজল
ঋতু ভেদে ওঠানামা করে তাকে অস্থায়ী সম্পৃক্ত
স্তর বলে। আর এই স্তরে ক্রমাগত জল ওঠানামা
করে বলে একে পরিবর্তনশীল সম্পৃক্ত স্তরও বলা হয়ে থাকে।
এর নিচে যে অংশে ভৌমজল শুধুমাত্র আদ্র ঋতুতে পাওয়া যায় আথবা ভূঅভ্যন্তরে যে অংশে ভৌমজল
ঋতু ভেদে ওঠানামা করে তাকে অস্থায়ী সম্পৃক্ত
স্তর বলে। আর এই স্তরে ক্রমাগত জল ওঠানামা
করে বলে একে পরিবর্তনশীল সম্পৃক্ত স্তরও বলা হয়ে থাকে।
(b) স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর:- ভূ-অভ্যন্তরের
অপ্রবেশ্য শিলাস্তর এর উপরে যে অংশে সাধারনত সারবছর ধরে ভৌমজল তল পরিবর্তন না হয়ে স্থায়ীভাবে
ভৌমজল অবস্থান করে সেই স্থানকে বা অংশকে স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর বলে। এই স্তর ভূ-অভ্যন্তরের ৭০০-১০০০ মিটার গভীরতায় অবস্থান
করে।
অপ্রবেশ্য শিলাস্তর এর উপরে যে অংশে সাধারনত সারবছর ধরে ভৌমজল তল পরিবর্তন না হয়ে স্থায়ীভাবে
ভৌমজল অবস্থান করে সেই স্থানকে বা অংশকে স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর বলে। এই স্তর ভূ-অভ্যন্তরের ৭০০-১০০০ মিটার গভীরতায় অবস্থান
করে।