নিবিড় কৃষি কাকে বলে? নিবিড় কৃষির অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য লিখো।

By

নিবিড় কৃষি : যেসমস্থ দেশে জনসংখ্যার অনুপাত চাষযোগ্য জমির পরিমাণ অনেক কম, সেই সমস্থ অঞ্চলে প্রচুর শ্রম ও মূলধন বিনিয়োগের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এর ফলে যে কৃষিজ ফসল উৎপাদন করা হয়, সেই পদ্ধতিকে নিবিড় কৃষি বলে। 

নিবিড় কৃষির অবস্থান : দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়া দেশ। যেমন – ভারত, মায়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি। এছাড়াও উত্তর-মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার ঘনবসতি যুক্ত অঞ্চলে নিবিড় পদ্ধতিতে কৃষিকাজ লক্ষ্য করা যায়। 

নিবিড় কৃষির বৈশিষ্ট্য : নিবিড় কৃষি ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি নিন্মরূপ আলোচনা করা হল –

(i) জমির আয়তন : নিবিড় কৃষি ব্যবস্থার মধ্যে সাধারণত কৃষিকাজ ক্ষুদ্র আয়তনের জমির ওপর করা হয়। 

(ii) উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার : এই কৃষি ব্যবস্থায় ক্ষুদ্র জমিতে চাষ করার কারণে, বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে চাষ করার ক্ষেত্রে। 

(iii) অধিক জনসংখ্যা : নিবিড় কৃষিযুক্ত অঞ্চলে কৃষি জমির জনসংখ্যার পরিমাণ বেশি থাকে বা জনসংখ্যার চাপ বেশি থাকে। 

(iv) জমির পরিমাণ কম : এই কৃষি ব্যবস্থা যুক্ত অঞ্চলে অধিক মাত্রায় জনসংখ্যা বা ঘনবসতি থাকায় এখানে মাথাপিছু উৎপাদনকারী কৃষিজমির পরিমাণ কম। 

(v) কৃষিজ ফসল : এই কৃষি ব্যবস্থায় সাধারণ দ্বি বা বহুফসলি শস্য চাষ করা হয়। তার মধ্যে প্রধান ফসল হল ধান। এছাড়াও, মিলেট, তৈলবীজ, পাত, আখ প্রভৃতি চাষ হয়। 

উপরিক্ত বিশিষ্ট্য গুলি ছাড়াও, মুলধনের যোগান, শ্রম, উন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবহার প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। 
আরও পড়ুন:  মালয়েশিয়ার রবার শিল্পের উন্নতির কারণগুলি আলোচনা করো।

Leave a Comment