দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব : ষাটের দশকে ভারতে শস্য উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে যে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, তার ফলে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়। আর আই অসুবিধা গুলিকে দূর করার জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাকে দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব বলে। দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব সংগঠনে বা পরিকল্পনা গ্রহণের প্রধান কারণ গুলি হল –
(i) শস্যের বৈষম্যতা হ্রাস : সবুজ বিপ্লবের ফলে শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করার জন্য এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সবুজ বিপ্লবে ধান গম ও জোয়ারের উৎপাদন বৃদ্ধি হলেও অন্যান্য ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পায়নি। যা দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লবের ফলে ঘটেছে।
(ii) কৃষকদের আয়ের বৈষম্য হ্রাস : সবুজ বিপ্লবের ফলে ভারতের উত্তর পশ্চিম অংশে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটায় ঐ অঞ্চলের কৃষকদের অর্থিক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু অন্যান্য অঞ্চলে কৃষকদের আর্থিক দিক থেকে উন্নতি ঘটেনি। আর এই বৈষম্য দূর করার জন্য দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব সংঘটিত হয়।
(iii) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা : সবুজ বিপ্লবের ফলে পরিবেশে দূষণ বাস্তুতন্ত্র বিনষ্ট প্রভৃতি লক্ষ্য করা যায়। ফলে ক্রমাগত পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
উপরিক্ত কারণগুলি ছাড়াও, দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে গ্রাময়নচলের উন্নতি সাধন, পরিমিত জলসেচ ব্যবস্থা, সঠিক কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার প্রভৃতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় সবুজ বিপল সংঘটিত হয়।