তোমার পাঠ্য নাট্যাংশের মাধ্যমে নাট্যকার কি বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে তোমার মনে হয়? | উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত

By

ঊনবিংশ শতকের সংস্কৃতজ্ঞ পন্ডিত কৃষ্ণমাচার্য ইংরেজ নাট্যকার শেক্সপিয়রের ‘A Midsummer Night’s Dream’ নাটকের সংস্কৃত অনুবাদ করেন। নাম দেন। ‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’। সাহিত্যের মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজের যে চিত্র অঙ্কিত হয় তা কবির অন্তদৃষ্টির পরিচায়ক। আলোচ্য নাট্যাংশে কবি কৃষ্ণমাচার্য কয়েকটি চরিত্রের উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রচলিত সমাজের এক চিত্র ও গতানুগতিকতার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদের চিত্র তুলে ধরেছেন। কবি তথা নাট্যকারের এই ভাবনাকে নিম্নে বর্ণনা করা হল

দেশের আইন অনুযায়ী কন্যা বিবাহ করবে তার পিতার নির্দিষ্ট করা পাত্রকেই। এর অন্যথা করলে সেই কন্যার শাস্তি হল হয় মৃত্যু নয় আজীবন অবিবাহিত থাকা। ইন্দুশর্মার কন্যা তার পিতার পছন্দের পাত্র মকরন্দকে বিবাহ না করে বসন্তকে বিবাহ করতে চায়। ফলতঃ দেশীয় নিয়ম অনুযায়ী তার শাস্তি প্রাপ্য। আবার কৌমুদী তার পছন্দের বসন্তকে পরিণয়েই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জীবনানির্বাহে সামাজিক রীতিনীতি তথা দেশীয় আইন পালন করাটাই সুস্থ সমাজের লক্ষণ। এতে যেমন শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায় তেমনি সৃষ্ট জীবনযাপনও হয়। রীতি-নীতি আইন কানুনের উল্লঙ্ঘন অস্থিরতাকেই বাড়তে সাহায্য করে। আবার পক্ষান্তরে সেই রীতি-নীতি ও আইনকানুন যদি ব্যক্তিবর্গের কাছে বোঝা স্বরূপ হয়ে যায় তাহলে তা অসন্তোষের জন্ম দেয়। আর অসন্তোষ থেকেই অশান্তি। ফলতঃ সেই শৃঙ্খলাবোধ জীবনে আনে বিশৃঙ্খলার ছোঁয়া। তাই কৌমুদীর ভবিষ্যৎ জীবনযাপনে সে কাকে বর হিসাবে গ্রহণ করবে এ বিষয়ে তার পিতার জেদ যেমন কাম্য নয়, তেমনি পিতার ভাবনা ও দেশীয় আইনকে লঙ্ঘনে বদ্ধপরিকর কৌমুদীর চিন্তাও সুচিন্তিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই কৌমুদীর প্রতি শাস্তির ভীতি প্রদর্শন যেমন তার জেদের বিরুদ্ধে বার্তা দেয়, তেমনি কৌমুদীর প্রতিবাদও তার পিতা ইন্দুশর্মার আচরণের বিরুদ্ধ বার্তা বহন করে।

আরও পড়ুন:  ইন্দ্রবর্মা ও কনকলেখার কথোপকথন সংক্ষেপে বর্ণনা করো। | উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত বাসন্তিকস্বপ্নম নাটক থেকে প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE

Leave a Comment