জনসংখ্যা পিরামিড : কোন দেশ বা অঞ্চলের জনসাধারণের বয়স অনুসারে নারী-পুরুষের জন্ম
মৃত্যুর মাত্র ও গঠন বিন্যাস যে চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়, তাকে বয়লিঙ্গ পিরামিড
বা জনসংখ্যা পিরামিড বলে।
ধরণ পাওয়া যায়।
জনসংখ্যা পিরামিডের শ্রেণীবিভাগ : প্রকৃতি, আকৃতি, গঠন বিন্যাস প্রভৃতি অনুসারে
জনসংখ্যা পিরামিডকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
(ক) প্রথম শ্রেণীর পিরামিড : যে পিরামিডের জন্মহার ও মৃত্যুহার উভয়ই বেশি হওয়ার
কারণে ভূমিভাগ প্রশস্থ এবং শীর্ষ দেশ সংকীর্ণ হয় তাকে প্রথম শ্রেণীর পিরামিড বলে।
অন্তর্ভুক্ত
দেশ বা অঞ্চল : নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বুরুন্ডি, মালি, ইথিওপিয়া প্রভৃতি।
(খ) দ্বিতীয় শ্রেণীর পিরামিড : চিকিৎসা ব্যবস্থার
উন্নতির জন্য মৃত্যুহার কম ও জন্মহার বেশি হওয়ার কারণে যে পিরামিডের ভূমিভাগ প্রশস্থ
হয় এবং অবতল বা ধনুকাকৃতি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয়, তাকে দ্বিতীয় শ্রেণীর পিরামিড বলে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।
অন্তর্ভুক্ত দেশ : মেক্সিকো, ব্রাজিল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি।
(গ) তৃতীয়
শ্রেণীর পিরামিড : জন্ম ও মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় অপ্রসস্থ ভূমিভাগ যুক্ত উত্তলাকৃতির
পিরামিডকে তৃতীয় শ্রেণীর পিরামিড বলে। তৃতীয় শ্রেণীর পিরামিডে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির নাম হল – পশ্চিম
ইউরোপের দেশ, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ভারতবর্ষ (২০১১)।
: (i)জনসংখ্যা বিবর্তনের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে অবস্থান করে।
(ঘ) চতুর্থ
শ্রেণীর পিরামিড : জন্মহার হটাৎ বৃদ্ধির কারণে ভূমিভাগ প্রসস্থ যুক্ত ঘণ্টা ও বেল আকৃতির
যে পিরামিড সৃষ্টি হয় তাকে চতুর্থ শ্রেণীর পিরামিড বলে। এই পিরামিডে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হল – যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, প্রভৃতি।
(ঙ)
পঞ্চম শ্রেণীর পিরামিড : মৃত্যুহারের তুলনায় জন্মহার কম হওয়ায় যে পিরামিডের ভূমিভাগ
অপ্রসস্থ ও শীর্ষদেশ সংকীর্ণ হয় তাকে পঞ্চম শ্রেণীর পিরামিড বলে। এই পিরামিডে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হল – জাপান, সুইডেন প্রভৃতি।