গোষ্ঠীবদ্ধ গ্রামীণ বসতি : কোন নির্দিষ্ট স্থানে প্রাকৃতিক ও আর্থ সামাজিক সুযোগ
সুবিধার ওপর ভিত্তি করে একত্রিত ভাবে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে গোষ্ঠীবদ্ধ গ্রামীণ বসতি
বলে।
উদাহরণ : কলু উপত্যকা, ওড়িষ্যার বোলানি, কটক জেলার মহানদীর বামতীর প্রভৃতি।
মানুষ একসাথে বসবাস করে।
কাছা কাছি বা পাশাপাশি অবস্থান করে।
সংখ্যা বেশি থাকে।
গোষ্ঠীবদ্ধ গ্রামীণ বসতি গড়ে ওঠার কারণ : গোষ্ঠীবদ্ধ গ্রামীণ বসতি গড়ে ওঠার কারণ
গুলিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে নিন্মে আলোচনা করা হল। যথা –
(A) প্রাকৃতিক কারণ :
(ক) অনুকূল জলবায়ু : যেসব
অঞ্চলে বসতি স্থাপনের অনুকূল পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়, সেই অঞ্চলে এই বসতি গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে জলবায়ু উষ্ণ ও আদ্র প্রকৃতির
হলে বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুকূল হয়।
(খ)
নদনদীর অবস্থান : নদ নদীকে কেন্দ্র করে এই বসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। কারণ – জলসেচের সুবিধা, জল পরিবহন, মৎস
শিকার, জলের প্রাপ্যতা, উর্বর মৃত্তিকার অবস্থান প্রভৃতি।
(গ)
সমতল ভূমিরুপ : গোষ্ঠীবদ্ধ গ্রামের বসতি সাধারণত সমতল ভূমিভাগ যুক্ত অঞ্চলে গড়ে উঠতে
দেখা যায়। কারণ –
উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্রিয়াকালাপের সুযোগ সুবিধা থাকায় এই বসতি
গড়ে ওঠে।
(B) অর্থনৈতিক
কারণ :
(ক)
উন্নত কৃষিকাজ : যে সমস্থ অঞ্চলে কৃষিকাজের অনুকূল পরিবেষ লক্ষ্য করা যায় সেই অঞ্চলে সাধারণত গ্রামীণ বসতি গড়ে
উঠতে দেখা যায়।
(খ)
উন্নত পরিবহন : উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা হল যেকোন বসতি স্থাপনের একটি অন্যতম নিয়ন্ত্রক। উন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কোন
অঞ্চলে গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ।