প্রশ্ন : আর্যাবর্ত ও স্বর্গের তুলনা যেভাবে ত্রিবিক্রমভট্ট করেছেন তা বর্ণনা করো ।
উত্তর: কবি ত্রিবিক্রম ভট্ট ‘নলচম্পু’ নামক চম্পূকাব্যের প্রথম উচ্ছ্বাসে শেষ অলংকার প্রয়োগ করে হিমালয়সমন্বিত আর্যাবর্ত নামক দেশের অপূর্ব বর্ণনা করেছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে, নগর-গ্রামের শোভায়, কুলনারীদের পাতিব্রত্যে, গ্রাম্যজনেদের কর্মচঞ্চলতায় আর্যাবর্ত সদা শোভিত। এমন শান্তি যেন স্বর্গের শান্তিকেও হার মানায়। সুশাসিত আর্যাবর্তের প্রজাদের মধ্যে রয়েছে সমৃদ্ধি। সকল প্রকার সমৃদ্ধিতে পূর্ণ প্রজারা সর্বদাই যেন মহোৎসবে নিরত। এই মহোৎসবকে আর্যাবর্তের আধিবাসীরা যেন পরম্পরাতে পরিনত করেছে। এদিক দিয়ে কু বা পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ যেন পৃথিবীতে বাস না করা অর্থাৎ স্বর্গবাসী দেবতাগণকে উপহাস করে। নিরহংকার আর্যাবর্তবাসী, দেবরথ সমন্বিত দেবতারা। আর্যাবর্তবাসীদের রয়েছে প্রচুর বসু বা ধন। কিন্তু দেবতাদের রয়েছে অষ্ট বসু। অতএব এহেন দেবকুলকে যেন আর্যাবর্ত সততই উপহাস করে – “সমুপহসন্তি স্বর্গবাসিনং জনং জনাঃ।”
আবার, স্বর্গে রয়েছে এক গৌরী উমা, এক মহেশ্বর শিব, এক হরি বিষ্ণু, এক ধনদ কুবের। আর্যাবর্তে কিন্তু অজস্র গৌরাঙ্গনা নারী, মহেশ্বর বা অতিসমৃদ্ধ ব্যক্তি, শোভা যুক্ত হরি বা অশ্ব, ধনদানকারী রক্ষাকর্তা সর্বত্র রয়েছে। স্বর্গে রয়েছেন সুরাধিপ ইন্দ্র। আর্যাবর্তে সুরাধিপ বা মদ্যপ রাজা নেই। স্বর্গে রয়েছেন বিনায়ক গণপতি। আর্যাবর্তে কিছু বিনায়ক বা রাজার বিরুদ্ধে কেউ নেই। বস্তুত দ্ব্যর্থক ভাষায় কবি স্বর্গ ও আর্যাবর্তের তুলনা করে আর্যাবর্তকে স্বর্গের চেয়ে সুন্দরতর বলেছেন। তাই আর্যাবর্ত সকলেরই প্রিয়—“কস্যাসৌ ন প্রিয়ো ভবেৎ”।
,আমার উ
Sir, আপনি কী বলতে চাচ্ছেন একটু details এ বলতে পারেন। অথবা আমাদের Contact Details এ Contact করবেন।